সহজ ভাষায় যাকে আমরা বলি মুড সুইঙ্গস(mood swings) তা হয় সাময়িক। অনেক সময় এর পিছনে থাকে কোনো শারীরিক সমস্যা বা অসুস্থতা কিংবা ব্যক্তিগত সমস্যা। এই শারীরিক সমস্যার উন্নতি হলে নিত্য দিনের ব্যবহারও স্বাভাবিক হয়ে পড়ে। তবে এই মেজাজের পরিবর্তন যদি অস্বাভাবিক হয় যেমন এক মুহূর্তে মন প্রফুল্ল আবার পরমুহূর্তেই যদি কোনও ব্যক্তি বিরক্ত কিংবা অবসাদে চলে যান এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হয় তা হলে এটি চিন্তার বিষয়। সম্ভবত ওই ব্যক্তি বাইপোলার মুড ডিসঅর্ডারে(Bipolar Mood Disorder) আক্রান্ত। এটি একটি আবেগজনিত মানসিক অবস্থা যেখানে আক্রান্ত ব্যাক্তির ব্যবহারে দুই ভিন্ন রকমের মানসিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই মানসিক সমস্যয় আক্রান্ত ছিলেন প্রবাদপ্রতিম ডাচ চিত্রশিল্পি ভিনসেন্ট ভ্যান গগ(Dutch painter Vincent Van Gogh)। চিত্রশিল্পির মৃত্যুর পর বিষয়টি জানা যায়।
এরপর থেকেই প্রত্যেক বছর ৩০শে মার্চ চিত্রশিল্পির জন্মদিন উপলক্ষে উদযাপিত হয় এই ওয়ার্ল্ড বাইপোলার ডে(World Bipolar Day)। ইন্টারন্যাশনাল বাইপোলার ফাউন্ডেশনের(International Bipolar Foundation) তরফ জানানো হয়েছে বিশ্বজুড়ে এই মানসিক সমস্যা নিয়ে সচেতনতা(awareness) সৃষ্টি করতে এবং একে ঘিরে যে সামাজিক ছুঁৎমার্গ(social stigma) মানুষের মধ্যে রয়েছে তা দূর করার লক্ষে পালন করা এই বিশেষ দিনটি।
বাইপোলার(bipolar) অর্থাৎ দুটি মেরু। এক মেরুতে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রচন্ড উৎফুল্ল ও আবেগতাড়িত আবার পরক্ষণেই একেবারে বীপরিত মেরুর মতো বিপরীত ব্যবহার। আচমকা স্বভাবে দেখা যায় বিষণ্ণতা এবং অসুস্থ ব্যক্তি মনমড়া হয়ে পড়েন সারাক্ষণ একটা দুঃখবোধ কাজ করে।
সামাজিক ও ব্যক্তিগত মানসিক চাপের কারণে বংশগত, স্নায়ুজনিত সমস্যার কারণে মস্তিষ্ক থাকা একাধিক রাসায়নিক উপাদানের ভারসাম্যহীনতা ঘটলে এই মানসিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দেখা যায় এই মানসিক সমস্যা। নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই এই রোগের সমান প্রভাব দেখা যায়।
বাইপোলার মুড ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তির স্বভাবে এই বিষয়গুলি লক্ষ্য করা যায়(Symptoms of Bipolar Mood Disorder)
প্রধানত এক মুহূর্তে উৎফুল্ল ও পর মুহূর্তেই বিষণ্ণ দেখায় এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের। বিষণ্ণ থাকাকালিন এই সমস্যাগুলো দেখা যায়-
আবার বিষণ্ণতার বদলে অনেকের মধ্যে ম্যানিয়া দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি বেশি আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। যেমন-