কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: শিশু-কিশোরদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি৷ বৃহস্পতিবার এমনটাই জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু বা WHO)৷ করোনা সংক্রমণের ধরন ও স্থানীয় সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী শিশু-কিশোরদের করোনা ভ্যাকসিন দিতে সায় দিয়েছে হু৷ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশ তাদের নিজস্ব টিকাদান নীতি ও টিকাপ্রদান কর্মসূচির মাধ্যমে শিশু, কিশোর-কিশোরীদের ভ্যাকসিন দিতে পারে৷’
#UPDATE The EU's drug regulator has approved Pfizer's coronavirus jab for children aged 5 to 11, clearing the way for the vaccination in a cohort where the virus is rapidly spreading pic.twitter.com/ETInyxxf3v
— AFP News Agency (@AFP) November 25, 2021
বৃহস্পতিবার হু-র ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজার করোনভাইরাস টিকা প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে৷ বিশেষত, অতিসংক্রমক অঞ্চলগুলিতে যত দ্রুত সম্ভব করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া যায় তা বিবেচনা করতে বলেছে৷
Countries should consider the individual & population benefits of immunising children and adolescents in their specific epidemiological and social context when developing their #COVID19 immunisation policies and programs https://t.co/Ez8SyT0aJw pic.twitter.com/tU5e4dPReg
— World Health Organization (WHO) (@WHO) November 25, 2021
হু-র দাবি, সার্বিকভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ কম৷ যদি তা হয়ে থাকে তা-ও নির্দিষ্ট এলাকা-গোষ্ঠীর মধ্যে হচ্ছে, হয়েছে৷ তাই, সকলের দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্যের কথা ভেবে শিশু-কিশোরদের ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি৷
ছোটদের ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয় নিয়ে আমেরিকায় উচ্চ স্তরে মেডিক্যাল প্যানেল গঠন করা হয়েছিল। কোনও রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া টিকাকরণ সম্ভব হবে বলে প্যানেলের তরফে জানানো হলে ফাইজারকে অনুমোদন দেয় সরকার। চীন, চিলি, কিউবার পর এবার আমেরিকাও ছোটদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ুন : ফাইজারের দুটি ডোজ ডেল্টা প্লাসের উপর কার্যকর, দাবি মার্কিন সংস্থার
সপ্তাহ তিনেক আগে ফাইজার এবং এর অংশীদার সংস্থা বায়োএনটেক জানিয়েছে যে, আমেরিকা চলতি সপ্তাহে ৫০ মিলিয়ন নতুন ডোজ কিনেছে। শুধু ৫ থেকে ১১ নয়, ৫ বছরের ছোট শিশুদের উপরও ভ্যাকসিন কার্যকরী হচ্ছে কিনা, তাও পরীক্ষা করবে সরকার। ফাইজারের ট্রায়ালে প্রায় ২ হাজার শিশু অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে ৯০% শিশুর দেহে এই টিকা কার্যকর হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এরপর আরও ৩ হাজার শিশুকে পরীক্ষামূলক ভাবে এই টিকা দেওয়া হয়। ৩ সপ্তাহের ব্যবধানে ২টি করে ডোজ দেওয়া হয়। তাদের শরীরে কোনও রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।