এখনও শহরে জাঁকিয়ে পড়েনি শীত। তবে আবহাওয়ার পরিবর্তন ইতিমধ্যে প্রভাব ফেলেছে ত্বকে ও শরীরের। একদিকে কেউ কেউ যেমন রুক্ষ ও শুষ্ক চুল ও ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন অন্যদিকে তেমন কেউ আবার সর্দি জ্বরে কাবু হয়েছেন। তাই শীতে সুস্থ ও সুন্দর থাকতে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে ভুলবেন না এই সব খাবার। যেমন
মিলেট খেতে পারেন (millet)
শীতকালে দু’বেলা ভাত খেলে ঠান্ডা লাগে এদিকে গ্লুটেন অ্যালার্জির কারণে এক টানা আটার কোনও খাবার যেমন রুটি বা পাউরুটি খেতে পারেন না। এক্ষেত্রে আপনি বরং ওটস কিংবা নানা রকমের মিলেট খেতে পারেন। মিলেটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে যা খেলে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং শরীর ভাল থাকে।
নিজেকে সারাক্ষণ হাইড্রেটেড রাখুন (hydrated)
ত্বক কোমল ও মসৃণ রাখতে নিজেকে সারাক্ষণ হাউ্রেটেড রাখুন। তাই শীতকালেও বেশি করে জল খান। ঠান্ডায় জল তেষ্টা কম পায় তাই অনেকেই জল খাওয়ার দিকে খেয়াল রাখেন না।
কন্দমূল জাতীয় খাবার (root vegetables)
কন্দমূল জাতীয় খাবার যেমন গাজর, বিট, ওলকপি ইত্যাদি নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। এগুলোতে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও কার্টানয়েড থাকে। এগুলো আমাদের শরীরের কোষগুলো সুস্থ রাখে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষ সারিয়ে তোলে।
টক দই খান (curd )
অনেকের ধারণা শীতকালে দই খাওয়া উচিত নয়। তবে এই ধারণা একেবারে ভুল শীতকালে অধিকাংশ মানুষে যে হারে পেটের সমস্যায় ভোগেন সেখানে পেট ঠিক রাতে নিয়মিত দই খান। দইয়ের মতো ন্যাচারাল প্রোবায়োটিকের জুড়ি মেলা ভার।
সবুজ শাক সবজি (green and leafy vegetables)
মরশুমি ফল ও সবুজ শাক সবজি অবশ্যই নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন। এতে এত পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান থাকে যে বলে শেষ করা যাবে না। বিশেষ করে শাক পাতা যেমন পালং শাক, পুই শাক, বেথুয়া শাক,লাল শাক ইত্যাদি। শাকে প্রচুর মাত্রায় ম্যাগনেশিয়াম থাকে এর ফলে এটা শরীরের কোষজনিত যে সব প্রক্রিয়া রয়েছে তা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং অটোইমিউন ডিজিস কিংবা কয়েক ধরনের ক্যানসারের থেকেও মুক্তি দেয়।