শীত এখনও তেমন জাঁকিয়ে পড়েনি তাই এখনও সেভাবে ত্বক নিয়ে সমস্যায় পড়েননি অনেকেই। ঠোঁট ফাটলেও নিয়মিত ময়শ্চারাইজার লাগানোর পর আর তেমন ভাবে রুক্ষ বা শুষ্ক হয়ে পড়ছে না ত্বক। তবে আবহাওয়ার পারদ যে মাসের শেষেই আরও কয়েক ডিগ্রি নামবে তা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তাই ত্বক ও চুল ভাল রাখতে আগাম ব্যবস্থা নিয়ে রাখলে শীতে পিকনিকে যাওয়া হোক কিংবা ক্রিসমাস বা নিউ ইয়ারের পার্টি লুক নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। কী ভাবে নিশ্চিত করবেন সুন্দর ত্বক ও চুল জেনে নিন-
এই সব পুষ্টিকর ড্রিংক্সের উপকারিতা (benefits of nutritious drinks )
ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে শুধু বাজার থেকে কেনা রাসায়নিক যুক্ত সামগ্রী ব্যবহার করলেই হবে না। বরং ত্বক ও চুল ভাল রাখতে দু’ক্ষেত্রেই প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি। আর এই পুষ্টির জন্য খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার। তবে অনেকেরই অনেক রকমের খাবারে অরুচি থাকে সে ক্ষেত্রে চটজলদি উপকার পেতে খেতে পারেন এই সব হেলদি জুস ও স্মুদি।
গ্রিন জুস (green juice)
শীতকালে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় গ্রিন জুস রাখতে পারেন। গ্রিন জুস খেলে শরীরে সহজেই প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিকর উপাদান শুষে নিতে পারে। যা একদিকে ওজন কম করতে অন্যদিকে শরীর সুস্থ রাখতে দারুণ উপকারী।
দুধে হলুদ মিশিয়ে খান (turmeric and milk)
যাঁদের ল্যাক্টোস ইনটলারেন্সের মতো সমস্যা নেই তাঁরা দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। এটা রাতে শোওয়ার আগে খেলে যেমন ঘুম ভাল হয় তেমনই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। গোল্ডেন মিল্ক নামেও এই পানীয় বিদেশে বেশ জনপ্রিয়।
হার্বাল চা (herbal tea)
হার্বাল চা যেমন গ্রিন টি, ক্যামোমাইল টি খেতে পারেন। এগুলো শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। এর পাশাপাশি ড্রাই স্কিনের সমস্যা থেকেও রেহাই দেয়।
সুপ (soups)
শীতকালে গরম গরম সুপ খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে শুধু স্বাদের দিক থেকেই নয় পুষ্টিকর খাবার হিসেবেও সুপ বেশ উপকারী। তবে এ ক্ষেত্রে বাজার থেকে অ্যাডিটিভ ও প্রিজারভেটিভ দেওয়া ‘রেডি টু কুক’ সুপের বদলে বাড়িতে টাটকা শাক পাতা ও সবজি কিংবা মাছ মাংস দিয়ে সুপ বানিয়ে খেলে উপকার পাবেন সব থেকে বেশি।
লেবু জল (lemon water)
সকালে খালি পেটে লেবু জল খাওয়ার উপকারিতা আর নতুন করে বলার কিছুই নেই। পাতিলেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। আর এই ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে খুবই কার্যকরী। তবে যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে তাঁরা খালি পেটে লেবু জল না খেয়ে ভরপেটে খেতে পারেন।