কলকাতা: কোলেস্টেরলের (Cholesterol ) কথা শুনলেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। কিন্তু শরীরে কোলেস্টেরল থাকলেই যে বিপদ, এমন কিন্তু নয়। মানব শরীরে দু’ধরনের কোলেস্টেরল রয়েছে ভাল কোলেস্টেরল বা এইচ ডি এল এবং খারাপ কোলেস্টেরল এল ডি এল। তবে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএলের পরিমাণ বাড়লেই সেটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কারণ এই এল ডি এল ধমনীতে রক্তপ্রবাহ আটকে দেয়। যা হৃদরোগের অন্যতম কারণ। আর শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়লে তা কিছু লক্ষণের মাধ্যমে জানান দেয়। জেনে নিন কোলেস্টরলের সাধারণ কিছু লক্ষণ।
১) কোলেস্টেরল খুব বেড়ে গেলে পায়ের টেন্ডন লিগামেন্টগুলোতে প্রভাব পড়ে। এ ক্ষেত্রে পায়ের ধমনিগুলো সরু হয়ে গেলে পায়ের নিচের অংশ অনেকটা অক্সিজেনসহ রক্ত পৌঁছাতে পারে না। তাতে পা ভারী হয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে সহজেই। পায়ের অসম্ভব যন্ত্রণা শুরু হয়। উরু বা হাঁটুর নিচে পেছনের দিকে ব্যথা হতে পারে। হাঁটার সময়েই এই ধরনের ব্যথা বাড়ে।
২) একই কারণে ঘাড় ও হাতের সংযোগস্থলেও ব্যথা হয়। মাঝেমাঝে এমন ব্যথায় আমরা নজেহাল হই। খুব ঘন ঘন একই স্থানে ব্যথা হলে একটু সতর্ক থাকুন। নিতম্বেও ব্যথা হওয়া উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে। যদি মাঝে মাঝেই নিতম্বে ব্যথা হয় তা হলে কিন্তু সেই লক্ষণ ভালো নয়। এই সব লক্ষণ দেখা দিলে এক বার রক্ত পরীক্ষা করে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা দেখে নেওয়া জরুরি।
আর পড়ুন:২০ মিনিটে ২ লিটার জল খেয়ে মৃত্যু মহিলার
৩) অনেকসময় কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে চোখের দৃষ্টি কমে আসতে থাকে। কারণ ছাড়াই চোখ ঝাপসা হয়ে আসে মাঝে মধ্যে।
৪) উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে চোখের পাতায় সাদা বা হালকা হলুদ রঙের দাগ দেখা যায়। অনেকটা মাংসের পিণ্ডের মতো দেখায় এই দাগ। একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় জ্যানথেলাসমাস বলে।
৫) এছাড়াও কোলেস্টেরলের আরও কিছু লক্ষণ রয়েছে। কোলেস্টেরলের আরও একটি লক্ষণ হল চোখের মণির পাশে সাদা গোল দাগ। এর পোশাকি নাম কর্নিয়াল আর্কাস।
তবে, কোলেস্টেরলকে বশে আনা কিন্তু মানুষের নিজের হাতেই। জীবনযাত্রায় লাগাম টানলেই বাগে আসে এই সমস্যা। এর জন্য আপনাকে জোর দিতে হবে ডায়েটে। ফ্যাটযুক্ত খাবার একেবারেই নয়। এছাড়া ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে।