কলকাতা: পেডিয়াট্রিক কোভিড কেয়ারের জন্য রাজ্যে পাঁচটি মেডিকেল কলেজকে ‘উৎকর্ষ কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। গত মাসেই বিসি রায় হাসপাতাল, চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ‘উৎকর্ষ কেন্দ্র’ তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এবার বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও মালদা মেডিকেল কলেজেও একই রকমভাবে শিশুদের কোভিভ কেয়ারকে ‘উৎকর্ষ কেন্দ্র’ হিসাবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দফতর।
শিশুদের চিকিৎসার জন্য পিকু বা পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের বেডও বাড়ানো হচ্ছে। ২১ টি হাসপাতালে ৪৩৫ টি পিকু বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের। রাজ্যের সমস্ত মেডিকেল কলেজ ছাড়াও চিত্তরঞ্জন সেবা সদন জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতাল বিসি রায় শিশু হাসপাতাল, জলপাইগুড়ির হাসপাতালে বাড়ানো হচ্ছে পিকু বেড। এখনো পর্যন্ত রাজ্যে ২৪৪ টি পিকু বেড রয়েছে । ৪৩৫ টি এর সঙ্গে যুক্ত হলে রাজ্যের পিকু বেড সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৬৭৯টি ।কোন পিকু ইউনিট ছিল না এমন ডায়মন্ড হারবার, রামপুরহাট, রায়গঞ্জ, পুরুলিয়া মেডিকেল কলেজে চব্বিশটি করে বেড সহ পিকু ইউনিট চালু হবে। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল বারোটি বেড দিয়ে পিকু ইউনিট চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। শুধু তাই নয় , এনআইসিইউ বা নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ৯০টি বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের। এসএসকেএমে
৮০টি এবং মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে ১০টি নিকু বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আরও পড়ুন- আগামী ৬ মাস আর কী কী খেল দেখাবে কোভিড, পড়ুন
২০১১ সালে পালাবদলের পর রাজ্যে ক্ষমতায় এসেই মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিশুরোগ চিকিৎসা এবং শিশুমৃত্যু ঠেকাতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেন। তিনি প্রথম রাজ্যে শিশুরোগ ও মৃত্যু প্রতিরোধের জন্য গড়ে তোলেন কমিটি। সারা রাজ্যে ব্লক স্তরের হাসপাতালেও তৈরি হয় সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট বা এসএনসিইউ। সেইসঙ্গে নতুন পিকু এবং নিকু ইউনিট তৈরি হয় বিভিন্ন হাসপাতালে এবং তার বেড বাড়তে শুরু করে। তার ফলও পেতে থাকেন রাজ্যের বাসিন্দারা। রাজ্যে শিশু মৃত্যুর হার কমতে থাকে। এবার করোনা আবহে আগাম সর্তকতা হিসেবে বড় সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই ৪৩৫টি পিকু এবং ৯০ টি নিকু বেড তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।