গরমে (Summer) ত্বকে বিভিন্ন সংক্রমণ দেখা দেয়। বিশেষ করে প্রচণ্ড তাপমাত্রায় (Temperature) অনেকের ত্বকেই সানট্যান দেখা দেয়। পাশাপাশি ত্বকে ফুসকুড়ির মতো সমস্যা বাড়তেই থাকে। যা থেকে চুলকানি ঘা এর সমস্যা দেখা যায়। অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার ফলে শরীরের লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে এসব ফুসকুড়ি হয়। তবে আপনি চাইলেই খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক এরজন্য কী কী করণীয়।
১) বরফ সেঁক: আপনার শরীরে যেখানে যেখানে ফুসকুড়ি বা ঘামাচি হয়েছে সেখানে স্নানের আগে প্রতিবার বরফ লাগান। এতে জ্বালা-পোড়াভাব ও চুলকানি কমবে।
২) চন্দন: চন্দন ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ রোধে জাদুকরী ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, চন্দন কাঠের গুঁড়ায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যানালজেসিক আছে। যা ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ রোধ করে। পাশাপাশি আক্রান্ত স্থানের জ্বালা-পোড়াভাব কমায়।
৩) অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরার নির্যাস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-সেপটিক উপাদান আছে। যা ত্বক ঠান্ডা করে সংক্রমণ কমায়।
৪) নিমপাতা: নিমপাতা খুব ভালো অ্যান্টিসেপটিক। নিমের তেল, নিমপাতা বাটা দু’টোই খুব ভালো কাজে দেয় চুলকানির সমস্যায়। এর জন্য একটা পাত্রে জল ভরে তাতে কয়েকটা নিমপাতা ডুবিয়ে রেখে স্নানের পর ওই জল গায়ে লাগান।
৫) টেলকম পাউডার: গরমে সবাই কমবেশি টেলকম পাউডার ব্যবহার করে থাকেন। এটিও ত্বকের জন্য উপকারী। বিশেষ করে ত্বককে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া থেকে বাঁচায় পাউডার।
৬) ক্যালামাইন লোশন: তুলায় করে ক্যালামাইন লোশন ত্বকের আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে সানট্যান থেকে শুরু করে ফুসকুড়ি, ঘামাচিসহ সব সমস্যা দূর হবে। যে কোনো ওষুধের ফার্মেসি থেকে এ লোশন কিনে ব্যবহার করতে পারেন।