কলকাতা: কথায় আছে, আমে-দুধে (Mango-Milk) মিশে যায়। কারণ আম দুধের মধ্যে ভালোভাবেই দ্রবীভূত হতে পারে। আর এখন তো গরমকাল। এই গ্রীষ্মের দুপুরে শেষ পাতে আম-দুধ দিয়ে ভাত অথবা আম দুধ-মুড়ি অথবা প্রবল রোদে বাইরে থেকে এসে এক গ্লাস ঠান্ডা ঠান্ডা মিল্কশেক –যাই হোক না কেন আম দুধের মিশেল আহ! কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, একসঙ্গে আম-দুধ খাওয়া কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? চলুন জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়ে কী বলছে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র?
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, দুধ এবং ফল আলাদাভাবে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, তবে দুধ শুধুমাত্র খাঁটি মিষ্টি এবং পাকা ফল যেমন আম, অ্যাভোকাডো, খেজুর ইত্যাদির সাথে একত্রিত করা উচিত। দুধের সঙ্গে মেশানো পাকা আম ভাতা এবং পিত্তাকে শান্ত করে, সুস্বাদু, পুষ্টিকর। এটি উজ্জ্বল ত্বক উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি মিষ্টি এবং প্রকৃতিতে শীতল। আয়ুর্বেদ চিকিৎসক জানিয়েছেন, কোনও অপরাধবোধ বা চিন্তা না করে মিল্ক শেক খান।
আরও পড়ুন:KK | Krishna Kumar Kunnath | বন্ধুকে বিশেষ দিনে শ্রদ্ধা জানাতে কেকের গান নতুন করে গাইবেন শান-পাপনরা
খাবারের সঙ্গে বা খাবার খাওয়ার পরে ফল খাওয়া বাঞ্ছনীয় নয় তবে আম রসের ক্ষেত্রে, আপনি এটি খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন। তবে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে যাদের প্রদাহজনিত সমস্যা রয়েছে, অটো ইমিউন ডিসঅর্ডার বা ত্বকের সমস্যা এ ছাড়া দুর্বল বিপাক/পাচনজনিত সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের জন্য দুধ এবং আম একসঙ্গে না খাওয়াই ভালো। এ ছাড়া আপনার চিকিৎসক যদি এটি না খাওয়ার পরামর্শ দেন তাহলে এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়।
আম-দুধের হাজারো উপকারিতার মধ্যে অন্যতম এটি তাড়াতাড়ি দেহে শক্তি সরবরাহ করে। দৈনিক চাহিদার প্রায় ২০% ভিটামিন এ এবং প্রায় ৩৩% ভিটামিন সি পাওয়া যায় ২২৬ গ্রাম আম-দুধ থেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। আম ক্ষারীয় প্রকৃতির এবং খাদ্য আঁশ সমৃদ্ধ হওয়ায় আম-দুধ দেহে অম্ল ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। যাঁরা অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভোগেন তাঁরাও এই খাবারটি খেতে পারেন। এটি লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক।