ভারতে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। প্রতি বছর ভারতে প্রায় ১৮ লাখ মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এদের মধ্যে ৪০ শতাংশ রোগী এক মাসের মধ্যেই মারা যান। তবে শুধু মৃত্যুর পরিসংখান নয় চিন্তা বাড়াচ্ছে স্ট্রোকে আক্রান্তদের বয়সও। এক সময়ে যে ধারণা ছিল যে শুধুমাত্র বয়স্করা স্ট্রোকে আক্রান্ত হন, সেই ধারণাকে ভুল প্রমান করে ইদানীং, স্ট্রোকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা। এই আক্রান্তদের সংখ্যা দেশে মোট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর প্রায় ২৫ শতাংশ।
স্ট্রোকে যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন অল্পবয়সীরা, সেই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছেন নিউরোলজিস্ট জয়ন্ত রায়। তিনি আরও বলেন অনিয়মিত জীবনযাপন এর অন্যতম কারণ। এর পাশাপাশি পরিস্থিতি আরও কঠিন করেছে স্ট্রেস। এই নিয়ে সচেতনতার প্রয়োজন। সুস্থ থাকতে জীবনযাপনের বদল আনার প্রয়োজন। এর পাশাপাশি স্ট্রোকের লক্ষণ নিয়েও সচেতন করেছেন তিনি। এবং সময় থাকতে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া না হলে বিপদ আড়ও বাড়ার আশঙ্কা থাকলে বলে তিনি জানিয়েছেন। তাই স্ট্রোকের সম্ভবানা এড়াতে B.E.F.A.S.T-র কথা বলেছেন তিনি। অর্থাৎ-
B for balance মানে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সমস্যা
E for eyes মানে চোখের সমস্যা
Facial expression মানে মুখের ভঙ্গির সমস্যা
A- Arm weakness মানে বাহুতে সমস্যা
S মানে Slurring speech কথা বলতে সমস্যা বা কথা অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া
T-timely management মানে সময় থাকতে ব্যবস্থা নেওয়া
এই পাঁচটি লক্ষণ দেখলে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিতে হবে।
আজ ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক ডে উপলক্ষে তাই স্ট্রোকের চিকিৎসা সুচারু রূপে এবং এক ছাতার তলায় করতে কম্প্রিহেনসিভ স্ট্রোক সেন্টার (comprehensive stroke centre) চালু করল ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সেসস কলকাতা(Institute of Neuro Sciences Kolkata)।
স্ট্রোক হওয়ার আগে যাতে স্ট্রোকের লক্ষণ বুঝে তা আটকানো যায় সেই নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি স্ট্রোকে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য চালু হলো এই বিশেষ ক্লিনিক। এর পাশাপাশি এমআরআই (MRI) সিটিস্ক্যানের (CT Scan)-র থেকেও উন্নত মানের ইমেজিং সিস্টেম(imaging system) , রাপিড এ আই বেসড ইমেজ (rapid AI based image) চালু হলো এই বেসরকারি হাসপাতালে। এই ইমেজিং এর মাধ্যমে রোগীর স্ট্রোক এর ফলে ব্রেনের কি অবস্থা তা সহজেই ধরা পড়বে।
আরও পড়ুন: স্ট্রোক নিয়ে এই ধারণাগুলি একবারে ভিত্তিহীন