কলকাতা: ঘুমোতে (Sleep) কে না ভালবাসেন! আর দুপুরে খাওয়ার পর একটু ভাত ঘুম হলে তো কোনও কথাই নেই। শীত হোক বা গ্রীষ্ম, দুপুরে একটু গড়িয়ে নেওয়ার লোভ সামলাতে পারেন ক’জন। কিন্তু দুপুরে খাবার খাওয়ার পর ঘুমানো কতটা স্বাস্থ্যকর, এটা ভেবে দেখেছেন? যদিও, দুপুরের এই ঘুম ভাল না খারাপ এ নিয়ে বিস্তর মতবিরোধ রয়েছে।
সম্প্রতি, ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের কয়েকজন গবেষক এই বিষয়ে গবেষণা করে একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন। ৪০ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ৪ লক্ষ মানুষের মধ্যে গবেষণা চালানো হয়। স্লিপ হেলথ জার্নালে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, দুপুরের ঘুম ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এই পাওয়ার ন্যাপের কারণে মস্তিষ্কের সংকোচন কমে যায়। আর মস্তিষ্কের সংকোচন যত ধীর গতিতে হয় বার্ধক্যও আসে তত দেরি করে। তাই বার্ধক্য কে রুখতে দুপুরে ঘুমোতেই পারেন।
সকালে অনেক কাজের পর দুপুরের ঘুম চোখকেও শান্তি দেয়। ফলে মাঝে মধ্যে ঘুমোতেই পারেন। এতে স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি পায় বলেই বিশেষজ্ঞদের মত। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের বেশি ঘুম নয়এর বেশি হলেই বিপদ। তাই দুপুরে ১৫ মিনিট বিশ্রাম নিতেই পারেন। এতে সুস্থ থাকবেন ও ভাল থাকবেন। দুপুরে ঘুম থেকে উঠলে কাজেও মন দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন:আজ অমিতাভের হাতে রাখি পরাতে পারেন মমতা
তবে দুপুরে ঘুমনোর কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, একজন সুস্থ ব্যক্তির দিনে ৬-৮ ঘণ্টা খুম যথেষ্ট। কিন্তু সেটা মোটেও দিনের বেলা নয়, রাতে। কারণ রাতের বেলাতেই আমাদের দৈহিক পরিশ্রম কম হয়। তাই তখন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া একটু শিথিল হয়। সেই সময় মস্তিষ্ক, হার্ট সবকিছুই কিছুটা বিশ্রাম পায়। পরের দিনের কাজের শক্তি সঞ্চয় করে আমাদের শরীর। তাই রাতের ওই সময়ে গভীর ঘুম শরীরের পক্ষে খুবই জরুরি। কিন্তু দিনের বেলা কিন্তু তা মোটেই নয়।
চিকিৎসকদের কথায়, দুপুরবেলা পরিপাকতন্ত্রের কাজ বেড়ে যায় বলে পেটের মধ্যে অ্যাসিডের মাত্রও বেড়ে যায়। কিন্তু এই সময় যদি আপনি ঘুমিয়ে পড়েন, তাহলে পাকস্থলি ঠিকমতো নড়াচড়া করতে পারে না। ফলে খাবার হজম হয় না। ফলে বুক জ্বালাপোড়া, গ্যাস, গলা জ্বালার মতো সমস্যা দেখা যায়। এই হজমের সমস্যা থেকেই প্রভাব পড়ে হার্টের উপর। এছাড়া দুপুরে ঘুমলে শরীরে মেদ জমে বেশি। দুপুরে ঘুমোলে মস্তিষ্কের কাজেও বাধার সৃষ্টি হয়।