পুজো মানেই জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। সে আপনি যতই ডায়েট করুন না কেন পুজোর এ কদিন নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকার কড়াকড়ি উপেক্ষা করে রসনার তৃপ্তিতে সুখ খুঁজে নেন অধিকাংশ মানুষ। বিশেষজ্ঞরা যদিও নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার ওপরই জোর দেন তাই এক আধটা দিন ওলটপালট হলে এতে তেমন কিছু দোষের দেখেন না তাঁরাও। তবে উৎসবের মরসুমে একের পর এক অনুষ্ঠানে এই নিয়ম ভাঙাটাই যেন নিয়ম হয়ে দাড়ায়। আর এর ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। সঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তনের প্রভাব ও আছে। এই সব মিলিয়ে যাতে শরীর বেশি খারাপ না হয়ে যায় সেদিকেই নজর দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের অনিয়ম যাতে মাত্রাতিরিক্ত না হয়ে পড়ে সেই ভারসাম্যটা বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। কীভাবে বজায় রাখবেন সেই ভারসাম্য রইল সহজ উপায়-
উপোস করা
অনুষ্ঠান বাড়ি কিংবা গেট টুগেদার বা পার্টিতে রকমারি খাবার চেটেপুটে খাওয়ার পর উপোস রাখতে পারেন। অন্তত ১৬ ঘন্টা উপোস করে থাকতে পারলে খুবই ভাল। এতে চোখের খিদে কিংবা শুধু খাই খাই বাতিক থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। নিত্যদিনের খাদ্যাভ্যাসে ফিরতেও সুবিধে হবে।
প্রোটিন যুক্ত খাবার ও তরি তরকারি খান
খাবার খাওয়ার অনিয়ম হলে পরের দিন প্রোটিন যুক্ত খাবার ও বেশি করে তরি তরকারি খান। এটা আপনার রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
লো ক্যালোরি ডায়েট
মশালাদার মুখরোচক খাবার কিংবা মন ভরে মিষ্টি খাবার ইচ্ছে ঘন ঘন হলে লো ক্যলোরি ও হাই ফাইবার যুক্ত খাবার বেছে নিন। যাতে এই সব ধরনের খাবার খাওয়ার পর শরীর ঠিক রাখা যায়। ফাইবার যুক্ত খাবার পেট দীর্ঘক্ষণ ভরিয়ে রাখবে।
ক্যালোরি বার্ন করুন
চিট মিলের পরে নিজের পুরোনো দিনচর্যায় ফিরে যান। এক্ষেত্রে শরীরচর্চা অত্যন্ত আবশ্যক। যদি ওয়ার্ক আউট না করতে চান তাহলে অন্তত ৬০ মিনিট হাটুন। দেখবেন শরীর ঝরঝরে লাগবে।
পর্যাপ্ত জল খান
পুজোর খাওয়া দাওয়া মানেই মশলাদার খাবার কিংবা সোডিয়াম ও চিনিতে ভর্তি খাবার খাওয়া। তাই শরীর থেকে এই সব বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণ জল। এই কারণে চিট মিলস খাওয়ার পর প্রায় ২ থেকে ২.৫ লিটার জল খান। তবে শুধু চিট মিলস খেলেই নয় শীতকালেও বেশি করে জল খান। ঠান্ডার কারণে শীতকালে জল তেষ্টা কম পায়। ফলে অনেকেই কম জল খান। সেক্ষেত্রে শরীরে থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করার যে কাজ রয়েছে তা কঠিন হয়ে পড়।