করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের(corona second wave) মৃত্যুর মিছিল থামতে না থামতেই ফের একবার একরাশ ভয় ও সংক্রমনের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়ে হাজির ওমিইক্রন। করোনাভাইরাসের(coronavirus) ডেল্টা ভেরিয়েন্টের (delta variant)সংক্রমণের প্রকোপ কমে যাওয়াতে সাময়িক যে স্বস্তির পরিবেশ ফিরেছিল দেশে কিন্তু ওমিক্রনের আবির্ভাবে বাড়ছে চিন্তা। অমিক্রনের হাত ধরে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আঁছড়ে পরার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তাই বলা বাহুল্য ২০, ২১ এর মত ২২ এও মাস্ক পড়া থেকে মুক্তি নেই। যদিও ওমিক্রন কতটা প্রাণঘাতী তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। জানা গেছে ৩৭টা মিউটেশন(mutations) হয়েছে ওমিইক্রনের স্পাইক প্রোটিনে(spike protein)। এর ফলে এটা ডেল্টা ভেরিয়েন্টের(delta variant) তুলনায় খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে মার্কিন মুলুক ও ইউরোপে শক্তি বাড়াচ্ছে ডেলমাইক্রন ভাইরাস।
ডেলমিক্রন(delmicron) কি?
ডেলমিক্রন হল ডেল্টা ও ওমাইক্রনের সংমিশ্রণে তৈরি হওয়া করোনাভাইরাসের আরেকটি প্রকার। করোনাভাইরাসের আগের ভেরিয়েন্টের তুলনায় দ্রুত ছড়ায় এই ভাইরাস। আর তাই এর ভয়াবহতা নিয়ে এখনই প্রমাদ গুনছেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যেই বিশ্বের ১০৬টিরও বেশি দেশে ঢুকে পড়েছে এই ভাইরাস। শুধুমাত্র অ্যামেরিকা ও ইউরোপে ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বহু মানুষের মধ্যে। এই ডেলমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত ভারতও।
কীভাবে ওমিক্রন থেকে আলাদা ডেলমিক্রন (omicron vs delmicron)
করোনার প্রথম ভেরিয়েন্ট SARS-CoV-2 এর তুলনায় ওমাইক্রনের স্পাইক প্রোটিনে এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশী মিউটেশন(mutation) হয়েছে। এর ফলে এটা ডেল্টার(delta variant) তুলনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন(omicron) ভাইরাসে আক্রান্তের অধিকাংশের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাইল্ড সিম্পটম(mild symptom) দেখা গেছে। ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনে আক্রান্তের মৃতের সংখ্যাও যথেষ্ট কম। কিন্তু ডেলমিক্রন যেহেতু ডেল্টা ও ওমিক্রনের সংমিশ্রণে তৈরি তাই মনে করা হচ্ছে দুটো ভেরিয়েন্টের লক্ষণই ডেলমিক্রনে দেখা যাবে।
কতটা কার্যকরী ভ্যাকসিন?(vaccine effectiveness)
ইতিমধ্যে অধিকাংশেরই ভ্যাকসিনের(vaccine) দুটি ডোজ নেওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু এই ভ্যাকসিন ওমিক্রন ও ডেলমিক্রনের জন্য কতটা কার্যকরী হবে তা এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। আপাতত বিজ্ঞানীদের পরীক্ষণ নিরিক্ষণে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে দেখা গেছে ভ্যাকসিনের ঘেরাটোপ এড়িয়ে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এই নতুন দুই ভেরিয়েন্ট। আর এই কারনেই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠছে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ(booster dose)।
ভারতে ইতিমধ্যেই ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। তবে আশার আলো দেখাচ্ছে রিকভারি রেট(recovery rate), যে হারে সেরে উঠছে আক্রান্তরা বিজ্ঞানীদের মতে এই ন্যাশনাল রেট অফ রিকভারি(national rate of recovery) আরও বাড়বে।