বাঙলির রান্নাঘরে খেজুরের কদর সেই কোন কাল থেকে তার আর খবর রাখে না কেও। তবে শেষপাতে প্রিয় টমেটোর চাটনিতে খেজুর পড়লে চাটনির স্বাদ যে কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।করোনাকালে স্বাস্থ্য নিয়ে এখন সবাই সচেতন। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে খাদ্যাভাসে বেশ কিছু রদবদল ইতিমধ্যেই ঘটিয়ে ফেলেছেন অনেকে। খাবারের স্বাদ বাড়াতে বাজার চলতি সামগ্রীর বদলে প্রাকৃতিক উপকরণের দিকেই ঝুকছেন তারা। এই সব উপকরণের অন্যতম খেজুর। চকোলেট, মিল্কশেক, ডেজার্ট সব কিছুতেই তাই খেজুরের বাড়বাড়ন্ত । চিনি বা অ্যার্টিফিসিয়াল সুইটনারের বদলে ডায়বেটিক এখন প্রথম পছন্দ খেজুর। তবে সত্যি কি ডায়বেটিকদের জন্য ভীষণ উপকারী এই খেজুর? দিনে কটা করে খেজুরই বা খাওয়া উচিত তা জানা আছে কি?
কার্বোহাইড্রে়ট, ভিটামিন ও মিনারেল খেজুরে কি আছে আর কি নেই। খেজুরের শাঁসে প্রচুর পরিমানে ক্যালোরি রয়েছে। বিশেষ করে কয়েক প্রকারের খেজুর যেমন মেজদুলে এই ক্যালোরির মাত্রা অন্য খেজুরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। আর এই কারণেই দিনে কটা করে এই খেজুর খাওয়া হচ্ছে তার দিকে নজর রাখা উচিত।
ডায়বিটিকদের জন্য খেজুর কতটা উপকারী
খেজুরে প্রচুর পরিমানে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ যেমন আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পোটাশিয়াম রয়েছে। এর পাশাপাশি খেজুরের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশ কম তাই ডায়বিটিকদের জন্য খেজুর বেশ পুষ্টিকর।
অন্যদিকে খেজুরে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকায় রক্তে সহজে চিনি মিশতে পারে না এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি খিদে পেলে বাদাম ও অন্যান্য খাবারে সঙ্গে খেজুর বেশ স্বাস্থ্যকর। এছাড়া খেজুরে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় ইনফ্লেমেনশন কমাতে ও স্থুলতা প্রতিরোধে খেজুর কাজে দেয়।
এখানেই শেষ নয়। এই উপাদানগুলো ছাড়াও খেজুরে ফাইটোএস্ট্রোজেন বলে একটি রাসায়নিক রয়েছে যেটা অনেকটা এস্ট্রোজেন হরমোনের মত কাজ করে। এই এস্ট্রোজেন হরমোন শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রতঙ্গের কার্যকলাপের জন্য জরুরী।
বিশেষজ্ঞদের মতে ডায়বেটিকরা দিনে ২-৩টে খেজুর খেতে পারেন তবে তার বেশি নয়। পাশাপাশি খেজুর খাবার আগে তা তাদের পক্ষে আদেও স্বাস্থ্যকর কিনা সেই নিয়েও চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত বলেও তারা বলেন।
(ছবি সৌজন্য :Pixabay)