ব্যস্ত সবাই। আধুনিক জীবনের নিত্যদিনের ব্যস্ততা থাকবেই। তবে জীবন একটাই। তা প্রাণখুলে উপভোগ করতে গেলে নিত্য জীবনযাপনে পুষ্টিকর আহার ও নিয়মিত শরীরচর্চা না করলেই নয়। বেশ কিছুদিন স্বাস্থ্যের খাতির ভাবছেন যোগাসন কিংবা জিমে যাওয়া শুরু করবেন। কিন্তু বিষয়টা আটকে পড়েছে সেই চিন্তাভাবনাতেই! আপনার ক্ষেত্রেও যদি বিষয়টা এমন তা হলে এই ভাবনাচিন্তায় সময় নষ্ট না করে বরং হাঁটার অভ্যেস করুন।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
খাবার খাওয়ার পর পরই হাটবেন না। বরং ঘন্টাখানেক পর কিছুক্ষণ পায়চারি করুন বা কিছুক্ষণ হাটুন। এই অভ্যেসের ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে ও স্থুলতার হাত থেকে রেহাই পাবেন।
হাড় শক্ত হবে
হাঁটলে গোটা শরীরের এক্সারসাইজ হয়। তাই নিত্য জীবনযাপনে হাঁটার অভ্যেস রাখলে শরীরের হাড় ও মাংশপেশী শক্তপোক্ত হয়।
হাঁটলে স্ট্রেস কমে
দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে? তা হলে রোজ হাঁটার অভ্যেস করুন। এতে মন ভাল হয় এবং শরীর ও মেজাজ দু’ই ফুরফুরে থাকে।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রভাব পড়ে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। কমে যায় স্মৃতি শক্তি। তাই স্মৃতি শক্তি ভাল রাখতে নিয়মিত হাঁটার অভ্যেস করুন। নিজেকে সুস্থ রাখুন।
তবে শুধু হাঁটলেই হবে না। সঠিক উপকারিতা পেতে হাঁটার সময় এই নিয়মগুলো মেনে চলুন-
হাঁটার সময় টিলেঢালা জামাকাপড় পরুন
উৎসাহিত হয়ে একদিনেই অনেকখানি হাঁটতে যাবেন না। হাঁটার সময় অবশ্যই পায়ের জন্য আরামদায়ক জুতো বাছুন।
ঠিক কতক্ষণ হাঁটা উচিত
ওজন কমানোই হোক কিংবা শরীর ভাল রাখা। যে কারণেই হাঁটুন না কেন। অন্তত নিয়মিত ২৫ থেকে ৩০ মিনিট হাটুন। পারলে দু’বেলাই হাঁটুন। এতে স্বাস্থ্য ভাল থাকে এবং শরীরের একাধিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হাঁটার উপকারিতা
বাড়তে মেদ ঝরানোর পাশাপাশি নিয়মিত হাঁটলে কোলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়বিটিস ও স্থুলতা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে। পাশাপাশি হার্ট, উচ্চ রক্তচাপ এমনকি ক্যানসারের মতো রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে নিয়মিত হাঁটার অভ্যেস।