কোভিডের অতিমারির ভয়াবহতায় ধামাচাপা পড়ে গেছে কানসার, ডেঙ্গি, হেপাটাইটিটিস বা খাদ্যে বিষক্রিয়ার মতো সমস্যগুলি। প্রতি বছর খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে অসুস্থ হয় কোটি কোটি মানুষ। কখনও ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ, কখনও আবার পরিস্থিতির অবনতি হয়ে রোগীর মারাত্মক অবস্থা, এমনকী প্রাণনাশও। তাই খাবার কিনে খান বা বাড়িতে বানিয়ে, এই বিষয়গুলি মাথায় রাখা খুবই জরুরি।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন
ফল-মূল শাক-সবজি ভাল করে ধুয়ে খান, খাবার আগে হাত নিয়মিত ধুয়ে নিন। এর পাশাপাশি রান্নার আগে ও পরে রান্নার জায়গা এবং বাসনপত্র পরিষ্কার রাখুন।
খাবারে হাত দেওয়ার আগে ঈষদুষ্ণ গরম জল ও সাবান দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড হাত ধুয়ে নিন।
তরিতরকারি কাটার কাটিং বোর্ড, থালাবাসন, ডিশ, কাটা- চামচ, ছুরি ও রান্নার জায়গায় হাল্কা গরম সাবান জলে ধুয়ে নিন।
বাজার থেকে ফল ও তরিতরকারি এনে ভাল করে ডলে ডলে ধুয়ে নিন।
ক্যানড প্রোডাক্ট কিনলে, ওপরের ঢাকনাটা পরিষ্কার করে নিন।
কাঁচা সবজি ও রান্না করা খাবার একসঙ্গে রাখবেন না
কাঁচা সবজিতে থাকা জীবাণু খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই রান্নাঘরে বা ফ্রিজে কাঁচা মাংস, মাছ এবং তরি তরকারি রান্না করা খাবারের থেকে দূরে রাখুন।
কাঁচা সবজি রান্নার সময় যদি ম্যারিনেড করে থাকেন, তা হলে ওই ম্যারিনেড ব্যবহার করবেন না। আর যদি ব্যবহার করতেই হয় তা হলে ভাল করে ফুটিয়ে নিয়ে রান্না করুন।
কাঁচা ফল, তরিতরকারি কাটার জন্য আলাদা কাটিং বোর্ড ও ছুরি ব্যবহার করুন।
রান্নার সময় এই নিয়মগুলো মেনে চলুন
খাবার গরম করা এবং গরম রাখার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা অনুযায়ী গরম করুন।
প্রয়োজনে ফু়ড থার্মোমিটার ব্যবহার করুন। মাংসের ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখে বোঝা সম্ভব না।
যদিও ভারতীয় রান্নার পদ্ধতিতে রান্নায় যে পরিমাণ তাপের ব্যবহার করা হয়, তাতে জীবাণু নষ্ট হয়ে যায়।
খাবার ঠান্ডা করার সময়ে এই নিয়মগুলো মেনে চলুন
রান্নার দু’ঘন্টার মধ্যে ফ্রিজে খাবার তুলে রাখুন। বাইরে থেকে খাবার কিনে আনলেও এই একই কাজ করুন। তবে গরমকালে তাপমাত্রা বেশি থাকলে ১ঘন্টার মধ্যেই খাবার ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন।
ফ্রিজ থেকে বাইরে এনে জমানো খাবার বা কাঁচা মাছ-মাংস গলাবেন না। প্রয়োজনে ফ্রিজের ভিতর, বা ঠান্ডা জলে কিংবা মাইক্রোওয়েভে গলাতে পারেন।
ম্যারিনেট করে ফ্রিজে রেখে দিন।
সাবধানের মার নেই তাই খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলো মেনে চললে আপনি ও আপনার পরিবার উপকৃত হবে।