কুমড়োর বীজে যে এত পুষ্টি আছে জানলে এবার থেকে আর কুমড়ো বীজ ফেলে দেবেন না। পুষ্টিতে ভরপুর কুমড়ো বীজ তাই শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে ন্যাচারোপ্যাথিতে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য এই বীজ এত কার্যকরী যে একে সুপারফুডের তকমাও দেওয়া হয়েছে। বিশেষ যারা পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে ভোগেন। চ্যাপটা, কিছুটা ডিম্বাকৃতি এই কুমড়োর বীজের ব্যবহার বিভিন্ন মেক্সিক্যান পদের ব্যবহার হয়। মেক্সিকো ও স্প্যানিশ ভাষায় কুমড়োর বীজকে পেপিটা বলা হয়। বাইরে সবুজ গাঢ় রঙের পরতের ভেতরে অফ হোয়াইট রঙের এই বীজ। এই বীজগুলো ভীষণ পুষ্টিকর। গ্রীকদের ও আমেরিকায় সেই প্রাচীনকাল থেকেই কুমড়ো বীজের ব্যবহার হয়ে আসছে। খোসার ভেতর থেকে বার করে এই বীজগুলো সেঁকে নিয়ে স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের সমস্যা
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের সঙ্গে করে নিয়ে আসে একগুচ্ছ শারীরিক সমস্যা । সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যতালিকায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হয়। এই অবস্থায় নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় কুমড়োর বীজ রাখতে পারেন। কুমড়োর বীজ হর্মোনাল হেলথ ভাল করে।
আরও পড়ুন: ডায়বিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্রেকফাস্টে এই খাবারগুলো খেতে পারেন
কুমড়োর বীজে রয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদান
এতে প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। ম্যাগনেশিয়াম মেনুপজের পরে অস্টিওপোরোসিসের সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে আনে। এছাড়া হাড়ের গঠনে সাহায্য করে।
কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমানের ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই উপাদান চুল পড়া কম করে। এছাড়া কুমড়োর বীজে রয়েছে ট্রাইটোফ্যান নামে এক ধরনের ন্যাচারাল অ্যামিনো অ্যাসিড। এই উপাদান অনিদ্রার সমস্যা কমে করে। তাই ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক চামচ কুমড়োর বীজ খেলে ভাল ঘুম হবে
কীভাবে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখবেন কুমড়োর বীজ
চাইলে কাঁচা খেতে পারেন কিন্তু কোনও গন্ধ লাগলে বা কাঁচা খেতে ভাল না লাগলে রোস্ট করে কিংবা স্যালাড, সুপ, বা স্মুদির সঙ্গে পিষে মিশিয়ে খেতে পারেন।চাইলে ওটমিল বা পুডিংয়ে কিংবা মিহি করে পিষে চাটনি ও সসে মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে কুমড়ো বীজের পরিমাণ যাতে কোনও মতেই এক চামচের বেশি না হয়।