সুস্থ থাকতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে বেদানা ভীষণ কার্যকরী। তাই শরীর ভাল রাখার পাশাপাশি ত্বকের ও চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে আয়ুর্বেদে বেদানাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।বেদানায় রয়েছে একগুচ্ছ জরুরি পুষ্টিকর উপাদান ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট(antioxidant)। আর এই উপাদানগুলি থাকার কারণেই ত্বকের লাবণ্য, চুলের জৌলুস ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য তিনটি ক্ষেত্রেই বেদানা খুবই উপকারী।চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক আমাদের শরীরের বিভিন্ন ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় কীভাবে কাজ দেয় এই ফল।
কোনও কারণে প্রচণ্ড বেশি তেষ্টা পেলে তা বেদানা খেলে অনেকটা কমে যায়। এমনকি শরীরের ভিতরের কোন ইফ্লেমেশন (inflamation)বা জ্বালার সৃষ্টি হলে তা বেদানা খেলে অনেকটা কমে যায়।
বেদানা প্রাকৃতিক কামোত্তেজকের (natural aphrodisiac) কাজ করে। পাশাপাশি এটি শুক্রাণু(sperm) নিঃসরণকারী বীর্য়ের(semen) কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
বেদানা সহজেই হজম হয়ে যায়।
এর অ্যাস্ট্রিনজেন্ট(astringent) কার্যকারিতা রয়েছে এবং এটি ডায়রিয়া(diarrhoea), ইরিটেবিল বাওয়েল সিনড্রম(irritable bowel syndrome or IBS) ও আলসারেটিভ কোলাইটিসের(ulcerative collitis) মতো সমস্যায় কাজ দেয়।
ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেদানা উত্পাদনকারী দেশ
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের পক্ষেও বেদানা ভীষণ উপকারী। এটা বুদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শারীরিক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
হৃদযন্ত্রের জন্য এটি বেশ উপকারী। হাইপারটেনশন(hypertension) ও কোলেস্টেরল(cholesterol) কমাতে সাহায্য করে।
রেড ওয়াইন(red wine) ও গ্রিন টি(green tea)-র তুলনায় বেদানায় অ্যন্টি অক্সিডেন্টস রয়েছে তিন গুণ বেশি। এই নিরিখে বেদানাকে বেস্ট ইনফ্লেমেটারি ফুড (best inflammatory food) বলা যেতে পারে।
শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ নিকাশের ক্ষেত্রে বেদানা খুবই উপকারী। এটি আমাদের শরীরের কোষগুলিকে ক্ষয়ের (cell damage)হাত থেকে বাঁচায়।এবং ইনফ্লেমেশনের হাতে থেকে বাঁচায়।
অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পাশাপাশি বেদানাতে ফাইবার (fibre)ও ভিটামিন বি(Vitamin B), ভিটামিন সি(Vitamin C), ভিটামিন কে (Vitamin A)ও পটাশিয়াম (Potassium)রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে একটা গোটা বেদানা দিনের প্রয়োজনীয় ফোলেটের মোট পরিমাণের প্রায় ১/৪ অংশ ফোলেট(folate) ও ভিটামিন সি-র ১/৩ অংশ ভিটামিন সি-র জোগান দিতে পারে।
আমাদের শরীরের পুষ্টির এইসব চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ইনসুলিনের প্রতিরোধ (insulin resistance) ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এবং এই ভাবে রক্তে শর্করার (blood sugar)মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ছবি সৌজন্য: Pixabay