শীতকালে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রেজিন(raisins) বা কিশমিশ(kismis) রাখেন অনেকেই। প্রচন্ড ঠান্ডায় শরীর চাঙ্গা রাখতে যে পরিমান ক্যালোরির(calorie) প্রয়োজন তা জোগায় কিশমিশ। আবার প্রধান খাবারের মধ্যে খিদে পেলে জাঙ্ক ফুডের বদলে এই কিশমিশ খাওয়া পুষ্টির দিক থেকে খুবই উপকারী। বিশেষ করে আগের দিন রাতে কিশমিশ ভিজিয়ে রেখে সকালে উঠে খালি পেটে কিশমিশ খাওয়ার অনেক উপকারিতা আছে। ভিজিয়ে রাখারে ফলে কিশমিশে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের(antioxidants) মাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুন। এর ফলে আমাদের শরীরের খাবার থেকে পুষ্টি শুষে নেওয়ার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
এখানেই শেষ নয় প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর কিশমিশ পাচনতন্ত্রের কাজে সাহায্য করে। কিন্তু সমস্যা তখন বাঁধে যখন কিশমিশের গুনের কথা জেনে অনেকে এই কিশমিশ মুঠো মুঠো খেয়ে ফেলেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন কিশমিশ খাওয়ার যেমন অনেক উপকার আছে তেমনই মাত্রায় বেশি হলে অনেক অপকারও আছে।
কিশমিশ বেশি খেলে পেটের সমস্যা যেমন হজমের গন্ডগোল, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া ও কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রত্যেকদিন ঠিক কতটা কিসমিস(kismis) খাওয়া যেতে পারে
যারা ওজন নিয়ে সচেতন কিংবা ওজন কমানোর জন্য বিশেষ ডায়েট চার্ট মেনে চলেন তাদের কিশমিশ খুব বুঝে শুনে খাওয়া উচিত। বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক দিনে ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম কিশমিশ খাওয়া যেতে পারে।
বেশি পরিমানে কিশমিশ খেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে দেখে নিন-
হজম সমক্রান্ত সমস্যা হতে
কিশমিশে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। এই ফাইবার একদিকে যেমন হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে তেমন আবার পরিমানে বেশি হলে খাবার থেকে পুষ্টি শুষে নেওয়ার কাজে শরীররে জন্য বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে। এখানেই শেষ নয় একদিকে যেমন শরীর থেকে বাড়তি তরল পদার্থ শুষে নিয়ে এতে থাকা ডায়টারি ফাইবার ডায়রিয়ার সমস্যা থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে আনে তেমনি আবার বেশি করে কিশমিশ খেলে মাত্রায় অতিরিক্ত ডায়টারি ফাইবার তখন শরীরের সব জল শুষে নেয়। সেই সময় শরীরের পর্যাপ্ত জল না থাকলে ডিহাইড্রেশন, বদহজম ও পেটের অন্যান্য সমস্যা তৈরি হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত হয় শরীরের কোষ
কিশমিশে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যেমন পলিফেনলস, বায়োফ্লেভনয়েড ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে। তাই যখন অল্প পরিমানে কিশমিশ খাওয়া হয় তখন তা শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু পরিমানে বেশি হলে এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রথম ফ্রি রেডিকেলসের সংস্পর্শে আসে পরে শরীরে সুস্থ কোষগুলোর ক্ষতি করতে শুরু করে।
ওজন বাড়াতে পারে
কিশমিশে বেশি ক্যালোরি আছে। তাই যারা ওজন কমানোর জন্য বিশেষ ডায়েট প্ল্যান মেনে চলছেন তারা হেভি ওয়ার্কআউটের পর ক্লান্তি অনুভব করলে শরীর চাঙ্গা করতে কিশমিশ খেতে পারেন কিন্তু এটা যদি মাত্রাতিরিক্ত হয় তা হলে ওজন বাড়তে পারে।
রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে
যদিও কিশমিশের গ্লাইসিমিক ইন্ডেক্স কম তবে এতে চিনি ও ক্যালোরির পরিমান থাকে অনেকটাই বেশি। তাই ডায়বিটিসের রোগীরা কিশমিশ খেতে পারেন কিন্তু পরিমান নিয়ে খুব সতর্ক থাকতে হবে বেশি হলেই সমস্যা হতে পারে।
(ছবি সৌ:Unsplash)