আজ ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে উপলক্ষ্যে হার্টের সমস্যা নিয়ে বেশ কিছু তথ্য আপনি জানতে পেড়েছেন। হার্ট সুস্থ রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন। এখন ভাবছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভুলগুলো শুধরে নেবেন।ভাবছেন এমন কিছু রেসিপি বা খাবারের সন্ধান পেতেন যা খেলে দ্রুত কাজ করত তা হলে ভাল হত। কিন্তু এমনটা ভেবে থাকলে আপনি আসাভঙ্গ হবেন। হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা নিমেষ কমিয়ে দেবে, ম্যাজিকের মতো কাজ করবে এমন কোনও খাবারই নেই। তবে এটা ঠিক সুষম আহার খেলে উপকার পাবেন। সুষম আহার মানে চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টি ও ভিটামিন পাবে শরীর। এর ফলে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।পাশপাশি নিত্যদিনের খাদ্যাভাসে এই খাবারগুলো রাখলে আপনার হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে বলে জানাচ্ছেন হার্ট বিশেষজ্ঞরা। জেনে নিন সেই খাবারগুলো কী কী-
ফ্যাটি ফিশ
যেসব মাছে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে সেই সব মাছ খেলে উপকার পাবেন। যেমন ম্য়াকেরাল, সার্ডিন, টুনা ও সালমন। এই ধরনের ফ্যাট ট্রাইগ্লিসারাইড (বিশেষ ধরনের ফ্যাট) কমিয়ে দেয় এবং এইচডিএলের-কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ব্লাড ভেজেলের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর ফলে হার্ট ব্লক বা রক্ত সরবরাহ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
বেশ কিছু ভেজিটেবিল অয়েল
ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্য়াসিড রয়েছে এমন কিছু তেল যেমন কর্ন, সয় ও সানফ্লাওয়ার তেল ও ওমেগা- থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যেমন ক্যানোলা ও অলিভ অয়েল। এই সব তেলগুলো রক্তে এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই মাখন বা ফ্যাটের বদলে এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
ফল-মূল ও শাক-সবজি
ফাইবার, পোটেশিয়াম ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টসের মত প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ রয়েছে ফল ও সবজিতে। এই উপাদানগুলি আমাদের হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এর পাশাপাশি এগুলিতে ফোলেটের মত একটি উপাদান আছে যা রক্তে অ্যামিনো অ্য়াসিড হোমোসিস্টেইনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে, এই পদার্থটি হার্টের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে।
শস্য
এই ধরনের খাবারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এই ফাইবার এলডিএল কোলেস্টেরল ও হার্টের অসুস্থতা কমিয়ে দেয়। যেমন ওটস, লেগিউমস ও বার্লে তে ,প্রচুর পরিমাণে সলিউবেল ফাইবার থাকে যা সহজেই হজম হয়ে যায়।
চা
বেশ কয়েকটি গবেষণায় জানা গেছে চায়ে প্রচুর পরিমাণে অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। এই উপাদান হার্টের রক্ত সরবরাহকারী ধমনীগুলোতে ফ্যাট জমতে দেয় না। এবং অনেক ক্ষেত্রে এগুলো অ্যান্টি ক্লটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এর ফলে হার্টে থেকে রক্তের চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
ভিটামিন ই আছে এমন খাবার
অ্যাভোকাডো, শাক সবজি, বনস্পতি তেল ও ইত্যাদি যে সব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই আছে সেই খাবার খান। তবে দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর মত এই সব খাবারের বদলে ভিটামিন ই-র সাপ্লিমেন্ট খাবেন না। এত উপকার পাবেন না।
রসুন
রসুনে একটি বিশেষ উপাদান রয়েছে, নাম অ্যালিসিন। এই অ্যালিসিন শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এবং হার্টের বিভিন্ন রকমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে লাগে।