কলকাতা: হু হু করে ছাড়াচ্ছে কনজাঙ্কটিভাইটিস (Conjunctivitis)। ভারী বর্ষা এবং আর্দ্রতার পরিবেশ আরও জটিল করে তুলেছে পরিস্থিতি। প্রধানত পাঁচ প্রকারের কনজাঙ্কটিভাইটিস হয়ে থাকে। অ্যালার্জিক কনজাঙ্কটিভাইটিস, জয়েন্ট প্যাপিলারি কনজাঙ্কটিভাইটিস, ব্যাক্টিরিয়াল কনজাঙ্কটিভাইটিস, ভাইরাল কনজাঙ্কটিভাইটিস, নিওনেটাল কনজাঙ্কটিভাইটিস। এর মধ্যে দু-তিন ধরনের কনজাঙ্কটিভাইটিস সবচেয়ে বেশি দেখা যায়– অ্যালার্জিক কনজাঙ্কটিভাইটিস ও ভাইরাল এবং ব্যাক্টিরিয়াল কনজাঙ্কটিভাইটিস।
কোষের পাতলা পর্দা দিয়ে তৈরি চোখের কনজাঙ্কটিভাইটিস। এটি চোখের পলকের অভ্যন্তরের স্তর ও চোখের সাদা অংশকে আবৃত করে রাখে। এর ফলে চোখ ব্যথা ও লাল হয়। চোখ ফুলে যায় এবং চ্যাটচ্যাট করতে শুরু করে। কনজাঙ্কটিভাইটিসের কারণে চোখ চুলকায়, এলার্জি ও জ্বালা হতে পারে। তবে প্রাথমিক পর্যায় এ বিষয় যত্ন নিলে সুফল পেতে পারেন। কনজাঙ্কটিভাইটিসের সাধারণ সংক্রমণ হলে বাড়িতে বিশ্রামে থেকে কিছু সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই উপকার পাবেন। কনজাঙ্কটিভাইটিস থেকে নিজেকে বাঁচতে কিছু ঘরোয়া উপায় রইল-
আরও পড়ুন:Skin Care | Wrinkles | বয়সের আগেই ত্বকে বলিরেখা দেখা দিচ্ছে? ভরসা রাখুন এই ঘরোয়া উপাদানে
১) আক্রান্ত চোখে দিন ওয়ার্ম কম্প্রেস। ঈষদুষ্ণ জলে ভেজা পরিষ্কার কাপড়ের টুকরো দিয়ে হাল্কা ভাবে চোখ পরিষ্কার করে নিন। তাহলে চুলকানি ও অস্বস্তি কমবে।
২) আক্রান্ত চোখ থেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়া আটকাতে ঘন ঘন চোখ ঘষলে হবে না। চোখ চুলকানোও যাবে না। বরং ঠান্ডা জলের ঝাপটা দেওয়া যেতে পারে।
৩) বিছানার চাদর ও বালিশের কভার নিয়মিত পরিষ্কার করুন। অন্যের তোয়ালে, গামছা, চোখের কসমেটিক্স ব্যবহার করবেন না। নিজের তোয়ালে বা টিস্যু অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেবেন না।কাশী বা হাঁচার সময় মুখ ও নাক ভালোভাবে ঢেকে নিন।
৪) বার বার নিজের হাত ধোবেন বা স্যানিটাইজ করবেন। কল, হ্যান্ডেল ইত্যাদি যে সমস্ত বস্তুগুলি সকলে ছুঁয়ে থাকে তা কোনও অ্যান্টিসেপ্টিক দিয়ে পরিষ্কার করুন।
৫)) ডায়েটে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রাখুন বেশি করে। পালংশাক, গাজর, লেবুজাতীয় ফল বেশি করে খান। ত্রিফলা, নিমপাতার রস এবং ঘিয়ের ক্বাত্থ বানিয়ে শোওয়ার আগে খান। এতে সংক্রমণের চুলকানি কমবে।
৬) প্রতি ঘণ্টায় ১০-১৫ মিনিট ধরে কোল্ড কম্প্রেস করুন। কনজাঙ্কটিভাইটিস থেকে হওয়া উপসর্গ যেমন চুলকানি, ফুলে ওঠা, চোখ লাল হয়ে ওঠার মতে উপসর্গ কমে যায়।
৭) কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে বাড়িতেই থাকুন। যদি একান্তই বাইরে বার হতে হয়, রোদচশমা পরুন। বাচ্চাদের কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে স্কুলে পাঠাবেন না সম্পূর্ণ নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত।
৮) এই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে ৩-৪ দিনের মধ্যে সাধারণ সংক্রমণ সেরে যাওয়ার কথা। না হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
Disclaimer: ব্যক্তি বিশেষে এই তথ্য পরিবর্তন হতে পারে। তাই সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন)