সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন রূপচর্চার টোটকা (Beauty Hacks) বা রান্নায় অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের (Apple Cider Vinegar) জয়জয়কার বহুবার শুনেছেন। তবে এই অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের এইসব কার্যকারিতা কতটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে মনে প্রশ্ন রয়েছে। সেই সংশয় নিবারণ করতে রইল ভিনিগারের উপকারিতা নিয়ে বেশ কিছু তথ্য।
স্বাস্থ্যকর উপাদানের ভান্ডার
আপেলে যে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে, সেটা ফার্মেন্ট করে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার তৈরি করা হয়। এই ভিনিগারের মূল উপাদান হল অ্যাসেটিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সমাধানে বেশ কার্যকরী।
ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া নষ্ট করে দেয়
এই অ্যাসেটিক অ্যাসিড শরীরের ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়াকে নষ্ট করে দেয়। এই কারণে ডিসইনফেক্ট্যান্ট ও শাক-সবজির সংরক্ষণে এই ভিনিগার ব্যবহার করা হয়।
ডায়বিটিসের সমস্যায় কার্যকরী
টাইপ টু ডায়বিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার। শরীরে ইনসুলিন সেনসেটিভিটি বাড়িয়ে তোলে। খাবার খাওয়ার পরে শরীরে গ্লুকোজ তৈরি হয়। তখন হাই ইনসুলিন সেনসেটিভিটি আমাদের শরীরের কোষগুলি, রক্তে থাকা গ্লুকোজের সঠিক ব্যবহার করে, এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে, এর ফলে কম খিদে পায়। এবং আপনার শরীরে ক্যালোরির মাত্রা চট করে বাড়তে পারে না । ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায়্য করে।
রূপচর্চায় কাজে দেয় অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
এই ভিনিগারের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়েল কার্যকারিতা রয়েছে। এটি ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
সাধারণত ১ থেকে ২ বড় চামচ মানে ১০ থেকে ৩০ মিলি পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন। রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন, কিংবা এক গ্লাস জলে মিশিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া চুলের সৌন্দর্য্য বাড়াতে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার বেশ উপকারী। তবে যাঁরা ডায়বিটিসের জন্য ইতিমধ্যেই ওষুধ খাচ্ছেন তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই রান্নায় ব্যবহার করা উচিত। এ ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার একেবারেই করবেন না। তা করলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে পেটের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।