অবশেষে উত্তুরে হাওয়ার হাত ধরে শীতের আগমন হল শহরে। রবিবার তাপমাত্রার পারদ নেমে যায় এক ধাক্কায় অনেকটাই। ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আজ ছিল কলকাতার এই মরসুমের শীতলতম দিন। আর শীতের এই আমেজেই রকমারি খাবারের প্রতি ঝোঁক বাড়ে অনেকের। আপনিও যদি এই দলের একজন হন তা হলে রসনাতৃপ্তির ফাঁদে পা দিয়ে বেহিসাবি হয়ে পড়বেন না। তাই যা পছন্দের খাবার খাওয়ার সময় বিভিন্ন ফুড কম্বিনেশন নিয়ে সচেতন হতে হবে। অনেক সময় একটি খাবারের সঙ্গে আরেকটি খাবার খেলে শরীরে গুরুপাক হয়ে যেতে পারে। তাই খাওয়ার আনন্দ যাতে মাটি না হয় তার জন্য এই ফুড কম্বিনেশনগুলো এড়িয়ে চলুন। যেমন-
ডালের সঙ্গে কপি
শীতকাল মানেই ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রোকোলির রকমারী পদ।তবে কপির সঙ্গে ডালের কম্বিনেশন না করলেই ভাল। এই দু’টো খাবারই শরীরে গেলে গ্যাস তৈরি হয়। তাই এই দু’টো খাবার ভুলেও এক সঙ্গে কিংবা রাতে খাবেন না।কারণ রাতে পাচনক্রিয়ার গতি অনেকটাই স্লথ হয়ে পড়ে।তাই একান্তই যদি এই দু’টো খাবার খেতে হয় তাহলে অন্তত দিনের বেলায় খান। আর যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে তাদের পক্ষে এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।না হলে পেটে ফোলাভাব কিংবা পেট ব্যথার সমস্যা হতে পারে।
শাক পাতা ও মরশুমি ফল
শীতকালে নানা রকমের শাক পাওয়া যায়। তেমনি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত ফলও পাওয়া যায়।তবে এই দু’টো খাবার এক সঙ্গে বা পর পর খাবেন না।কারণ এর ফলে শরীরে অ্যালকালাইন ও অ্যাসিডিক দু’রকমের জুস প্রচুর মাত্রায় তৈরি হয়। আর এই কারণে বদহজমের সমস্যা তৈরি হয়।তাই যখন শাকের কোনও পদ খাবেন তার পর পরই মরশুমি ফলের তৈরি কোনও খাবার খাবেন না।
অ্যালকোহল ও মিষ্টি
শীতকালের বিয়ে বাড়িতে কিংবা শরীর গরম রাখতে অনেকেই মদ্যপান যেমন রাম পান করেন।তবে মদ্যপানের পর ভুলেও মিষ্টি খাবেন।কারণ এই দু’টো খাবার যখনই এক সঙ্গে খাওয়া হয় তখন শরীরে ফারমেন্টশন শুরু হয়। এর ফলে আপনার ব্রেন অ্যাক্টভিটি ও শরীর প্রভাবিত হতে পারে। তাই মদ্যপানের সময় প্রোটিন যুক্ত খাবার খান যেমন ডিম, মাংস, পনির কিংবা টোফু।