অসুখ বলে কয়ে আসে না। যে কোনও ব্যক্তি যে কোনও সময় অসুস্থ হতে পারে। এটা যেমন ঠিক, তেমন এটাও ঠিক যে শরীর খারাপ হওয়ার আগে আমাদের সঙ্কেত পাঠায়৷ কিন্তু নিত্যদিনের কর্মব্যস্ততায় আমাদের খেয়াল থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে এই সব সঙ্কেত আমরা বুঝতেও পারি না। তাই স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়তি সচেতনতার প্রয়োজন।শরীরকে রোগের বাসা করে তুলতে না চাইলে সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনশৈলীর প্রয়োজন। তবে শরীরের অন্যান্য সমস্যার মধ্যে হার্ট অ্যাটাক এমন, যার আকস্মিকতা সত্যি ভয় পাওয়ার মতো। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে যে ভাবে দেশের কম বয়সীদের মধ্যে বাড়ছে এর প্রভাব, তা যথেষ্টা চিন্তাজনক৷ তেমনই মত চিকিৎসকদের।
তাই এ বছর ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে(World Heart Day)-র থিম (theme) ইউজ হার্ট টু কানেক্ট(Use Heart to Connect)। অভিনব কায়দায় কীভাবে মানুষকে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সচেতন করা যায় সেই চেষ্টায় চলছে বিশ্বজুড়ে। তাই চলুন, চুপিসারে যাতে এই রোগ আপনার বা আপনার প্রিয়জনের জীবনে থাবা বসাতে না-পারে, জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলো-
হার্ট অ্যাটাকের প্রধান লক্ষণ হল বুকের ভিতরের অস্বস্তি অনুভব করা। অন্যান্য অনেক কারণে এই অস্বস্তি হয়ে থাকে৷ কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের এই অস্বস্তি অন্যরকম এবং বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলতে থাকে।এই অস্বস্তির পাশাপাশি বুকে প্রবল চাপ বা যন্ত্রণাও অনুভব হবে।
অনেক ক্ষেত্রে এই অস্বস্তি শরীররে অন্যান্য অঙ্গেও ছড়িয়ে পড়ে। যেমন হাতের ওপরের অংশে, গলায়, পীঠে এমনকি পেটেও।
হার্ট অ্যাটাকের আর একটি লক্ষণ হল নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া। এই সমস্যা আচমকা হলে সতর্ক থাকুন। অনেক ক্ষেত্রে নিশ্বাস নিতে সমস্যা ও বুকে ব্যথা হয়, অনেক সময় আবার শুধু নিশ্বাসের সমস্যা থাকে বুকে ব্যথা থাকে না।
আবার অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের এই লক্ষণের একটাও থাকে না, বদলে গা বমি ভাব বা মাথা ঝিমঝিম করার মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়। এবং গা ঠান্ডা করে গোটা গায়ে ঘাম দিয়ে ওঠে।
হার্টের অসুখ নিয়ে সচেতন ও সতর্ক থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।এই ধরনের লক্ষণ বা সমস্যার সৃষ্টি হলে এড়িয়ে যাবেন না চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। তাঁদের পরামর্শ মেনে কাজ করুন।