আধুনিক যুগে ব্যস্ত জীবনযাপনে বাড়ি ও অফিসের দায়িত্ব সামলে উঠতে হিমশিম খেয়ে যান অনেকেই।কাজের চাপ আর দৈনন্দিন জীবনযাপনের এই টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ে অনেক সময় একটু একটু করে মনে ঘরে করে উদ্বেগ ও হতাশা।আর অনেকে ক্ষেত্রেই আমাদের অজান্তেই এই মানসিক অবস্থায় আগুনে ঘৃতাহুতির মতো কাজ করে আমাদের নিত্যদিনের খাদ্যতালিকা। রোজ আমরা কী ধরনের খাবার খাই তার প্রভাব পড়ে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। তাই স্ট্রেস কিংবা অ্যাংজাইটির সমস্যা হলে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলি অবশ্যই রাখুন-
হার্বাল টি
দিনের যত অশান্তি থাকুক না কেন গরম চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিলেই কোথায় যেন সব দুশ্চিন্তা ও ক্লান্তি মিলিয়ে যায়।তাই প্রতিদিন ল্যাভেন্ডার কিংবা ক্যামোমাইল টি খেতে পারেন। ক্লান্তি দূর হবে মনে প্রশান্তি আসবে।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড
ফ্যাটি অ্যাসিড স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। একাধিকে গবেষণায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মানসিক অবসাদ ও হতাশা কম করে। তাই ইলিশ, টুনা, ম্যাকারেল, স্যামনের মতো মাছ বা যে কোনও বড় মাছ নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।
ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেটে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটা শরীরে টেনশন থাকলে তা কম করে।তাই ডার্ক চকোলেট খেলে মন ভাল থাকে। তবে মনে রাখবেন মাত্রাতিরিক্ত খেলে কিন্তু উপকারের চেয়ে অপকার হবে বেশি।তাই পরিমাণ বুঝে খান।
বাদাম
বাদাম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে কারণ এতে ভিটামিন, জিঙ্ক ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে। বি ভিটামিন স্ট্রেস কম করে ও ম্যাগনেশিয়াম স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট আরও মজবুত করে তোলে।একাধিক গবেষণায় জানা গেছে আমন্ড, পিস্তা ও কাঠবাদাম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ডিম
ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, অ্যামিনো অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই সব উপাদান উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণে রাখে।ডিম মস্তিষ্ক ভাল রাখতেও দারুন কার্যকরী।খাদ্যতালিকায় নিয়মিত ডিম একদিকে যেমন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল রাখে তেমন স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টেও সাহায্য করে।