অ্যালোভেরাকে রূপচর্চার পরশ পাথর বলা হলে খুব একটা ভুল বলা হবে না, আপনার ত্বক কিংবা চুলের ধরন যাই হোক না কেন সব রকম সমস্যার সহজ সমাধান দিতে পারে অ্যালোভেরা। একই ভাবে স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও অনেকে অ্যালোভেরা জুস খান। অ্যালোভেরা জুস খাওয়া কিংবা অ্যালোভেরা ব্যবহারের উপকারিতা নিয়ে অনেকেই যেমন ওয়াকিবহল তেমন অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার কিছু অপকারিতাও রয়েছে তা হয়ত জানেন না অনেকেই। মাত্রাতিরিক্ত অ্যালোভেরা জুস শরীরে গেলে একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। একই ভাবে অ্যালোভেরার রস বা জেল ব্যবহারেও কিছু সমস্যা হতে পারে। তাই অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। পাশাপাশি চুল ও ত্বকে ব্যবহারের আগে একটা প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া ভাল।
অ্যালোভেরা ও ত্বকের সমস্যা
বেশি পরিমানে অ্যালোভেরা ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করলে স্কিন অ্যালার্জির মতো সমস্যা হতে পারে। এর ফলে ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি, জ্বালার কিংবা র্যাোশ বের হয়।
অ্যালোভেরা ও ডিহাইড্রেশন
অনেকেই ওজন কমাতে সকালে খালি পেটে অ্যালোভেরা জুস খান। এটা করলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। অনেক সময় আবার শরীর আনচান কিংবা বমি ভাব লাগতে পারে।
অ্যালোভেরা ও ডায়রিয়া
এমন কি একটানা অনেকদিন ধরে এইভাবে অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া হতে পারে। পাশাপাশি অ্যালোভেরা জুস রেচকগুন সম্পন্ন তাই একটানা খেলে ইরিটেবিল বাওয়েল সিন্ড্রোম কিংবা আইবিএসের সমস্যা হতে পারে। এমনকি অ্যালোভেরাতে রেচকগুন সম্পন্ন অ্যানথ্রাকুইনোন নামে একটি তরল পদার্থ আছে যার ফলে তলপেটে ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়ার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
প্রভাবিত হতে পারে পোটাশিয়াম
এখানেই শেষ নয় নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার ফলে শরীরের পোটাশিয়ামের স্তর এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যেতে পারে। এর ফলে শরীরে ক্লান্তি এবং স্নায়ুচাপজনিত সমস্যা হতে পারে।
পোড়া বা ক্ষতস্থানে ব্যবহার করা যাবে না অ্যালোভেরা
গভীর ক্ষত কিংবা বেশি পুড়ে যাওয়া জায়গায় অ্যালোভেরা ব্যবহার করবেন না। যাদের রসুন, পেঁয়াজ ও টিউলিপে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের মধ্যে অ্যালোভেরায় অ্যালার্জি বেশি দেখা যায়।
শুধু মুখে খাবেন না অ্যালোভেরা
জুসের বদলে শুধু মুখে অ্যালোভেরা খাওয়া শরীরের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকারক। অন্ত্রের সমস্যা, হার্টের অসুখ, হেমারয়েডস, কিডনির সমস্যা, ডায়বেটিস ও ইলেট্রোলাইট ইমব্যালেন্সের সমস্যা থাকলে ভুলেও অ্যালোভেরা খাবেন না।
অ্যালোভেরা ব্যবহারে আগে এই কাজ অবশ্যই করুন
আপনি যদি নিয়মিত কোনো ওষুধ খান সেই সময় চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া কখনই অ্যালোভেরা খাবেন না। ডায়বিটিস, হার্টের সমস্যায় যে সব ওষুধ পত্র ব্যবহার করা হয় কিংবা কেও ল্যাক্সেটিভ বা স্টেরয়েড খান সেই সময় অ্যালোভেরা খেলে জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।