রাতের হাওয়ায় শির শিরে ভাব থাকলেও সকাল থেকে সূর্যের চোখরাঙানিও কিছু কম নয়। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এই ঠান্ডা গরমে সমস্যায় পড়ে কচি কাচা থেকে শুরু করে বড়রা। প্রথমে ঠান্ডা লেগে সর্দি, কাশি পরে জ্বর আর না হলে আবহাওয়ার বদলে হজমের গন্ডগোল। সিজন চেঞ্জের সময় এই সব সমস্যা থেকে নিজেকে ও পরিবারের সকলকে সুস্থ রাখতে আয়ুর্বেদের এই ঘরোয়া টোটকা কাজে লাগাতে পারেন। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডা দিক্ষা ভাবসার তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন শুকনো আদার এই টোটকা। আপনিও শিখে নিন কী ভাবে বাড়িতে বানাবেন এই ড্রাই জিঞ্জার কনককশন(dry ginger concoction)-
এক লিটার খাওয়ার জলে আধ চা চামচ শুকনো আদা(dry ginger) দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। জলের ১/৪ অংশ ফুটে গেলে পাত্রটি গ্যাস থেকে নামিয়ে নিন। এবার এই জল একটি বোতলে ভর্তি করে নিন। এবার ঠান্ডা লাগলে কিংবা পেটের কোনও সমস্যা হলে এই জল খেতে থাকুন। এই পানীয় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তুলবে। এছাড়া গ্যাস, পেট ফোলা, পেটে ব্যথা সারিয়ে তুলতেও এটি বেশ কার্যকরী। আয়ুর্বেদে শুকনো আদাকে শুঁথি বলা হয়। তাজা আদার তুলনায় এই ড্রাই জিঞ্জার সহজপাচ্য। সর্দি, কাশির সমস্যায় টাটকা আদার তুলনায় এই শুকনো আদা আরও ভাল কাজ করে। তাই এই শুকনো আদা গোটা বছরই মশলা ও ওষুধি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে এখানেই শেষ নয় শুকনো আদার রয়েছে একাধিক উপকারিতা। যেমন-
ওজন কমাতে সাহায্য করে
এই মিশ্রণ খেলে শুধু যে আপনার হজমের সুবিধে হবে তা নয় বরং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ড্রাই জিঞ্জারের থার্মোজেনিক কার্যাকারিতা রয়েছে। এটা মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীরের জমে থাকা চর্বি গলে যায়। এছাড়াও এটা অতিরিক্ত খিদে ও বেশি খাবার খাওয়ার প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে শুকনো আদা কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: Food for Immunity: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৫ খাবার
ক্রনিক ইনডাইশেনের সমস্যা
যাঁরা এক টানা বদহজমের সমস্যায় ভোগেন তাঁদের জন্য এই শুকনো আদা খাওয়া খুবই কাজের। এতে পেট পরিষ্কার হয় এবং হজম সমস্যা আসতে আসতে ঠিক হয়ে যায়।
ঋতুস্ব্রাবের ব্যথা কম করে
ঋতুস্রাবের কারণে প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই একাধিক সমস্যা দেখা যায়। যদিও কোনও দু’জন মহিলার যে একই সমস্যা হয় তা নয়। তবে সব ক্ষেত্রেই এই শুকনো আদা না কী বেশ কার্যকরী। জানা গিয়েছে, মাসিকের প্রথম তিন দিন যদি কেও এক গ্রাম করে এই আদার গুঁড়ো খায় তা হলে ঋতুস্ব্রাবের একাধিক সমস্যার প্রতিকার হয়।
ডায়বিটিসে বেশ কার্যকরী
রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে শুকনো আদা। গরম জলে এক চিমটে নুনের সঙ্গে ২গ্রাম আদার গুঁড়ো মিশিয়ে খালি পেটে খেলে ভাল ফল পাওয়া যায়। তবে এই পথে হাঁটার আগে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
হাতে পায়ে ফোলাভাব কম করে
শরীরের কোনওরকম ইনফ্লেমেশন যেমন হাত পা ফোলা বা হাঁটুর ব্যথা কিংবা গেঁটে বাতের সমস্যায় বেশ কার্যকরী শুকনো আদা।