ফ্রেশ ফ্রুটসের থেকে ড্রাই ফ্রটসের দাম সব সময় বেশি। তবে এক্ষেত্রে কিশমিশের কপাল পোড়া। কাজু, পিস্তা, আখরোট আমন্ডের ভিড়ে কিশমিশের যেন কোনও কদরই নেই। তাই অন্যান্য জিনিসপত্রের তপলনায় কিশমিশের দাম বেশ কম। তবে দাম কম বলেই যে গুনে কম তা কিন্তু নয়। শীতকালে শরীর সুস্থ রাখতে কিশমিশ উপকারিতা অনেক। কিশমিশে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। তাই এটা শরীরের জন্য নানা রকম ভাবে বেশ উপকারী। যেমন-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িতে তোলে
শীতকাল কিশমিশ খেলে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণ ফ্লু ও অন্যান্য জীবাণু সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা মেলে। কারণ, কিশমিশে রয়েছে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি। আর এই উপাদানগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
আরও পড়ুন: Raisins: কিশমিশ খেতে ভালবাসেন? তবে ভালবেসে বেহিসেবি হলেই বিপদ
অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকরী
আমেদের দেশে অধিকাংশ মহিলা রক্তাল্পতার সমস্যায় ভোগেন। রক্তাল্পতা চট করে বিশেষ কোনও লক্ষণ সহজে চোখে পড়ে না। তাই বাড়াবাড়ি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এমনটা হলে প্রাণসংশয়েরও সম্ভাবনা তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে আগের দিন রাতে কিশমিশ জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে জল ফেলে কিশমিশ খেয়ে নিন। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে এবং এগুলি শরীরের ভেতরে গিয়ে লোহিত কণিকা তৈরির কাজে সাহায্য করে ।
হাড় ভাল রাখে
হাড় ভাল রাখতে প্রয়োজন ক্যালসিয়াম। আর কিশমিশেপ্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে । তাই হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে রোজ কিশমিশ খান।
শক্তি জোগায়
শীতকালে, ঠান্ডায় আপনি সহজেই কাবু হয়ে যান? তাহলে কিশমিশ খান। শরীর মন চাঙ্গা করে তুলবে। শক্তি জোগাবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়
শীতকাল এলেই অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে কিশমিশ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন। কিশমিশে প্রচুর পরিমানে ফাইবার আছে এটা যখন জলে ভিজিয়ে রাখা হয় তখন কিশমিশ ন্যাচারাল ল্যাক্সেটিভের কাজ করে।
কিশিমিশের সঠিক উপকারিতা পেতে আগের দিন রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খান। এর ফলে যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে তারাও এই জলে ভেজানো কিশমিশ খেতে পারবে।