কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : দীর্ঘ ৩০ বছর গবেষণার পর অবশেষে তৈরি হল ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন। বিশ্বের অন্যতম পুরনো এই রোগের ভ্যাকসিন হিসেবে RTS,S বা মসকুইরিক্স ছাড়পত্র পেল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার থেকে। ৫ থেকে ১৭ মাসের শিশুদের উপরে এই প্রতিষেধক ব্যবহার করা যাবে বলে জানা গিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই ভ্যাকসিনের বিষয়ে একটি টুইট করা হয়। যেখানে ধন্যবাদ দেওয়া হয় আফ্রিকার বিশেষজ্ঞদের। এছাড়াও বলা হয়েছে ম্যালেরিয়া কয়েক শতক ধরে মানুষের সঙ্গে রয়েছে। অবশেষে ৩০ বছরেরও বেশি সময়ের চেষ্টার পর জনস্বাস্থ্যে ইতিহাস তৈরী হল। এই ভ্যাকসিন শুধুমাত্র ম্যালেরিয়ার জন্যই নয় যে কোনও পরজীবী রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
এই ভ্যাকসিন ব্রটিশ ফার্মা কোম্পানি গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন তৈরি করেছে। এই টিকাটি এর আগে ছাড়পত্র পেয়েছিল ঘানা, কেনিয়া এবং মালাউইতে। প্রথমে ৮ লাখ শিশুকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত ২৩ লক্ষ শিশুকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এই পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতেই এই ভ্যাকসিন কে ছাড়পত্র দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
"I thank the researchers in Africa who generated the data and insights that informed this decision – this is a vaccine developed in Africa, by African scientists"-@DrTedros #EndMalaria
— World Health Organization (WHO) (@WHO) October 6, 2021
আরও পড়ুন – ভারতে করোনা টিকাকরণের দুর্দশার ছবি তুলে ধরলেন ডেরেক
মশার দ্বারা বাহিত হয় ম্যালেরিয়া। একই ব্যক্তির বার বার ম্যালেরিয়া হতে পারে। শিশুদের এক বছরে গড়ে ৬ বার করে ম্যালেরিয়া হয়। বার বার করে ম্যলেরিয়া হওয়ার ফলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাঁদের কাছে ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় ছিল মশারি।
আরও পড়ুন – আগামী ৬ মাসে ভারতে অনেকটাই দুর্বল হয়ে যাবে করোনা, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
সাব-সাহারান আফ্রিকার শিশুদের অসুস্থতা এবং মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ম্যালেরিয়ায় । পাঁচ বছরের কম বয়সেই ২,৬০,০০০-এরও বেশি আফ্রিকান শিশু প্রতি বছর এই রোগে মারা যায়। কাজেই শিশুদের ম্যালেরিয়ার মত মারণ রোগ থেকে বাঁচাতেই মসকুইরিক্স প্রতিষেধকটি বিশেষ ভাবে তৈরি হয়েছে।