নয়াদিল্লি: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন(Omicron Virus)৷ কর্নাটকে প্রথম দুই ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান মেলার পরেই সতর্ক হয়েছিল উদ্ধব ঠাকরে প্রশাসন৷ মহারাষ্ট্র ডেল্টার মতো ওমিক্রনের হটস্পট যাতে না হয়ে ওঠে, সেই কারণে কেন্দ্রের বাইরেও বেশকিছু কোভিড বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল৷ তারপরেও নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ-শীর্ষে মহারাষ্ট্র৷ শনিবার মুম্বইয়ের বাণিজ্য নগরীতে এক ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়ে৷ তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আরও ৭ জনের শরীরে মিলল ওমিক্রন, এবার পুনায়(Omicron in Pune)৷ সব মিলিয়ে ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১২৷
পুনায় আক্রান্ত সাত জনের মধ্যে একই পরিবারের চার জন রয়েছেন৷ সদ্য তাঁরা নাইজেরিয়া থেকে পুনায় ফিরেছেন৷ আক্রান্তদের মধ্যে এক মহিলা ছাড়াও তাঁর ভাই ও দুই মেয়ে রয়েছেন৷ দিল্লিতেও (Omicron Delhi) বছর ৩৭-এর এক ব্যক্তির শরীরে কোভিডের (Omicron Coronavirus) এই নয়া ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে। জিনোম সিকোয়েন্সের রিপোর্ট আসার পরেই রবিবার সকালে ওমিক্রন আক্রান্ত (Omicron Virus Threat) ব্যক্তিকে রাজধানীর লোক নায়ক জয় প্রকাশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তি তানজানিয়া থেকে রাজধানী শহরে ফিরেছেন। এই নিয়ে ভারতে(India) ৫ ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান মিলল।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন আতঙ্ক, কলকাতা এয়ারপোর্টে কড়া নজরদারি স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দিল্লিতে প্রথম ওমিক্রন কেস চিহ্নিত হয়েছে। আক্রান্ত তানজানিয়া ফেরত। এলএনজেপি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে আরও ১৭ জনের কোভিড টেস্ট রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে বলে তিনি দাবি করেন। প্রত্যেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে, এই ১৭ জনের মধ্যেও আর কেউ করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কি না, তা জিনোম সিকোয়েন্সের রিপোর্ট আসার পরেই নিশ্চিত করে জানা যাবে।
দিল্লির এলএনজেপি হাসপাতালের এমডি চিকিত্সক সুরেশ কুমার জানান, ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তির গলা খুসখুস, শারীরিক দুর্বলতা, গা হাত-পায়ে ব্যথার মতো মৃদু উপসর্গ রয়েছে। তাঁর কোভিডের দু’টি ডোজও নেওয়া ছিল। ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে। কোভিড পজিটিভ রিপোর্টের ভিত্তিতে আরও ১৭ যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল বলে তিনি উল্লেখ করেন। ডাক্তার সুরেশ কুমার জানান, ভাইরাস সংক্রামিত সকলেই উপসর্গহীন। তবে, ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য চিকিৎসকদের স্পেশ্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।