সাংবাদিক পরঞ্জয় গুহ ঠাকুরতাকে ফোন করলাম (Pegasus spywar)। কথা বলে বুঝতে পারলাম পেগাসাস ষড়যন্ত্র কতটা গভীর (Pegasus scandal)। পরঞ্জয় গুহ ঠাকুরতা নিজে পেগাসাসের শিকার। পেগাসাস এরপর শোরগোল ফেলে দিল। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বললেন, পেগাসাস ডেঞ্জারাস। ফোনের পিছনে ক্যামেরায় টেপ সেঁটে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী।
পেগাসাস হচ্ছে ইজরায়েলে তৈরি চরবৃত্তির সফটওয়ার। এনএসও নামের একটি সংস্থা তৈরি করে। যে সফটওয়্যার আমার, আপনার ফোনে ঢুকে পড়ে সব তথ্য হাতিয়ে নেয়। তবে এখানে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কোনও দেশের সরকারকেই একমাত্র এই সফটওয়্যার বিক্রি করা হয়ে থাকে। সরকার নিজের দেশের নিরাপত্তা বা সুরক্ষার স্বার্থে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে। হয়তবা কোনও বড় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা আছে, তখন সরকার পেগাসাসের মাধ্যমে ফোনে আড়িপাতে।
আরও পড়ুন : Year Ender 2021: আফগানিস্তানে তালিবানরাজ
আমাদের দেশের বহু সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ, শীর্ষ গোয়েন্দা, সিবিআই-কর্তা, নির্বাচন কমিশনের অফিসার, বিচারপতির ফোনে পেগাসাসের মাধ্যমে আড়িপাতা হয়েছে বলে অভিযোগ। এদের সঙ্গে জঙ্গি হামলার কোনও সুদূর সম্পর্ক আছে কিনা তা রিপোর্ট বেরনোর পর জানা যাবে। তবু কেউ আড়ি পেতেছে। যেমন আড়িপাতা হয়েছে পরঞ্জয় গুহ ঠাকুরতার ফোনে, তেমনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনেও।
আরও পড়ুন : নীরজের ইতিহাস, রুপোর মেয়ে চানু
কেন্দ্র এ নিয়ে চুপ। মুখে কুলুপ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জায়গায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি তাঁরা পেগাসাস কেনেনি। কে তবে কিনলেন? কোন প্রয়োজনে এত লোকের ফোনে ফেউ লাগাতে হল? প্রশ্নের বল গড়াতে গড়াতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছে। আদালত কমিটি তৈরি করেছে। স্বাধীন, স্বতন্ত্র তদন্ত হবে। রিপোর্ট বেরোবে। জানা যাবে তো প্রকৃত সত্য? ২০২১-এর এটা একটা অন্যতম প্রশ্ন।