কলকাতা: বায়ুদূষণ থেকে অনেকেরই ফুসফুসজনিত রোগ (Lung Disease) হচ্ছে। যে কারণে তাঁরা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এবার আপনাকে এমন একটা কারণ জানাব, যা শুনলে হয়তো অবাক হবেন। কারণটা আসলে পায়রা (Pigeon)। এর জন্য অনেকের জীবনে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই সত্যি।
বাড়ির ঘুলঘুলিতে বা কার্নিশে পায়রা (Pigeon) বাসা বেঁধে আছে, এমন দৃশ্য আমরা হামেশাই দেখতে পাই। অনেকে সেই দৃশ্য উপভোগ করেন, ভালোবাসার প্রশ্রয়ও দেন। অনেকে আবার বাড়ির ছাদে পায়রা পোষেন। এই পায়রাই মানুষের জীবনে বিপদ ডেকে আনছে, এমনটাই ধরা পড়েছে এক সমীক্ষায়। বিশিষ্ট বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ পার্থসারথি ভট্টাচার্য জানান, এ রাজ্যে যতজন মানুষের ফুসফুস শুকিয়ে যাওয়ার রোগ ধরা পড়ছে, তার প্রায় ৪০ শতাংশ পায়রার কারণে হয়েছে।পার্থসারথি বলেন, পায়রার পালকে ও বিষ্ঠায় এক ধরনের অ্যান্টিজেন রয়েছে, যা মানুষের পক্ষে ক্ষতিকারক। এর ফলে হাইপার সেনসিটিভিটি তৈরি হয় যা ফুসফুসের ক্ষতি করে। এই রোগের চিকিৎসার খরচটাও অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: Condom Sell Hike: মহামারীকালে কমেছে নির্বীজকরণ, বেড়েছে কন্ডোমের ব্যবহার
এই শহরের ২৬ বছরের তরুণী রুচিকা সিংহ গত তিন বছর ধরে বাড়ি থেকে বেরোতে পারেন না। তাঁকে সব সময় দুটো অক্সিজেন কন্সেন্টেটর থেকে নাকে নল লাগিয়ে থাকতে হয়। প্রতি মিনিটে তার ১০ লিটার অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে। দশ বছর বয়স থেকে তার হাঁচি-কাশি ক্রমশ বাড়ছিল।
২০১৭ সালে রুচিকা জানতে পারলেন যে, তাঁর ফুসফুস (Lung) শুকিয়ে যাওয়ার কারণ আসলে পায়রা। এখন তিনি বাঁচার জন্য যুদ্ধ করছেন। বাড়িতে বসে বসে সুন্দর ছবি আঁকেন ঠিকই, কিন্তু তার নিজের জীবনের ছবি শুধুই বিষণ্ণতার। তিনি স্বপ্ন দেখেন তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হবে এবং তিনি আরও অনেকদিন বাঁচবেন। কিন্তু সেই চিকিৎসার খরচ নাগালের বাইরে।
পায়রা যে বিপদ ডেকে আনতে পারে তা চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রমাণিত। তাহলে সাধারণ মানুষ কী করবেন সে বিষয়ে পার্থসারথি ভট্টাচার্য জানান, পায়রার প্রতি মানুষের যেন বিদ্বেষ তৈরি না নয়। পায়রার (Pigeon) প্রতি মানুষের ভালোবাসা থাকুক। তবে সাবধান থাকতে হবে।