বনগাঁ : সাহায্যের আশ্বাস মিলেছিল বনমন্ত্রীর থেকে। তবুও সাহায্য ছাড়াই শিরদাঁড়া সোজা রেখে লড়াইয়ের বার্তা এমএ ইংলিশ চাওয়ালীর।
উচ্চ শিক্ষিত তিনি। ইংরেজীতে এমএ পাশ করেছেন । চাকরির চেষ্টা করেও যখন মিলল না, তখনই চেপেছিল জেদ। কারও পরোয়া না করে খুলে ফেলেন চায়ের দোকান। নাম দিলেন এম এ ইংলিশ চাওয়ালী।বার্তা দিলেন চাকরি না পেলে হতাশা নয়। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা থাকলেই প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব।শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায়, হাবড়া রেল স্টেশনে এলে দেখা মিলবে এমএ ইংলিশ চাওয়ালীর।
টুকটুকি দাস নামে ২৬ বছর বয়সি এই জেদী মেয়েটা ইংরেজীতে মাষ্টার ডিগ্রী করে। একার চেষ্টায় প্রতিষ্ঠা পাওয়ার লড়াই চালিয়ে ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের দৌলতে বেশ পরিচিতি পেয়েছে। হাবড়া স্টেশনের নিত্যযাত্রীরা স্টেশনে এলেই চা পান করুন বা না করুন, এমএ ইংলিশ চাওয়ালী নামে এই দোকানে ঢুঁ মেরে যান।
আরও পড়ুন : চপ ভেজেই সংসারের হাল ফেরালেন জঙ্গলমহলের এমএ পাশ যুবক
পড়া শেষ হওয়ার পর বেশিরভাগ যুবক-যুবতীদের টার্গেট থাকে যে কোনও একটা চাকরি পেলেই সুনিশ্চত হবে তাদের ভবিষ্যৎ। কেউ কেউ চাকরি জোটাতে পারলেও, অনেকের ভাগ্যেই জোটে না মনের মতো চাকরি। ফলে হতাশার জন্ম নেয় তাদের মনে। বর্তমান সময়ে যখন চাকরি পাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে, ঠিক তখনই এমএ ইংলিশ চাওয়ালী টুকটুকি দাস উচ্চশিক্ষিত হয়েও নিজেই ব্যবসা খুলে দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন।
ইতিমধ্যেই বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাকে সাহায্যের আশ্বাস দিলেও টুকটুকি জানিয়েছেন, তিনি নিজের চেষ্টাতেই জীবনে প্রতিষ্ঠা পেতে চান।
হাবড়া স্টেশনে এমএ ইংলিশ চাওয়ালী
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই যুবতী মন্ত্রীকে কাছে পেয়েও চাকরির আবেদন না জানিয়ে বুঝিয়ে দেন, শিক্ষিত হয়ে শুধুমাত্র চাকরিতে জীবনে স্বাচ্ছন্দ আসে না। ইচ্ছে থাকলে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েও জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়া সম্ভব।
হাবড়ার বিধায়ক ও রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক টুকটুকিকে সমস্ত রকম সাহায্যের পাশাপাশি হাবড়া প্ল্যাটফর্মে দোকানটি বড় করার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু রেলের জায়গায় তা করা কতটা সম্ভব হবে, সেটাই এখন প্রশ্নের মুখে।