নয়াদিল্লি: পেগাসাস নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের আরও বেশ কয়েটি দেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কারণ, বিশ্বের ১৭টি সংবাদ সংস্থা তদন্ত চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার ফোন নম্বরের তথ্যভান্ডার প্রকাশ্যে এনেছে। কারণ, এই নম্বর গুলিতে ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও-র তৈরি সফটওয়্যারের মাধ্যমে আড়ি পাতা হয়েছে বলে অভিযোগ। ফোনে কী কথাবার্তা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে কী আদান-প্রদান হয়েছে, ফোনে কী তথ্য, নথি, ছবি রয়েছে সেটাও দেখা হয়েছে। অথচ যাঁর মোবাইল হ্যাক করা হয়েছে, তিনি জানতেই পারেন নি।
We need to work together to end unlawful targeted surveillance. As @Snowden said, we need to change the game ✊
ACT NOW >> https://t.co/0nBLB9cEvV pic.twitter.com/oRB2dF1XU6
— Amnesty International (@amnesty) July 21, 2021
The Wire and its #PegasusProject partners have revealed several names of those who may have been targets for surveillance including politicians, journalists, activists, students and many more.
Here's an updated list of names revealed by The Wire so far.https://t.co/XnE3avpr0v
— The Wire (@thewire_in) July 23, 2021
দেশীয় সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য ওয়ারে’র রিপোর্টে প্রকাশ, এই পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে ভারতের সরকার ও বিরোধী পক্ষের নেতা, মন্ত্রী থেকে শুরু করে ৪০ জনের বেশি সাংবাদিক, শিল্পপতি, সমাজকর্মী, বিচারপতিদের ফোন হ্যাক করা হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়াটা সরকারই করেছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। কিন্তু, পেগাসাস স্পাইওয়্যার সরকার কিনেছিল কি না তা স্পষ্ট করছে না। অথচ, পেগাসাস স্পাইওয়্যার নির্মাণ সংস্থা এনএসও-র বক্তব্য, শুধুমাত্র সন্ত্রাসী এবং শিশু যৌন নির্যাতনকারী, মাদক ব্যবসায়ী বা মানব পাচারকারীদের মত গুরুতর অপরাধীদের নজরদারি করার শর্তেই নির্বাচিত সরকারকে এই সফটওয়্যার বিক্রি করা হয়।
Leaked list contains numbers of Alok Verma and family, and of Rakesh Asthana, against whom the CBI had filed a case, triggering alarm bells at the highest levels of Modi government.#PegasusProject https://t.co/xFeoHGXidm
— The Wire (@thewire_in) July 23, 2021
এ কারণে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে তীক্ষ্ণ আক্রমণ শানালেন। রাহুলের মতে, দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অন্যায়ভাবে সংবিধানের উপর আঘাত হেনেছেন। রাহুল বলেন, ‘আমার ফোন ট্যাপ করা হয়েছে। এটা শুধু রাহুল গাঁধীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে খর্ব করা নয়। বিষয়টা অনেক বড়। কারণ, আমি একজন বিরোধী দলের নেতা। আমি দেশের সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরি। আমার ফোন ট্যাপ করা মানে দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এখনই পদত্যাগ করা উচিত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত।’
Others on the leaked database include at least two members of PDP chief Mehbooba Mufti’s family.
Their selection as potential targets of surveillance happened when Mufti was still CM of the erstwhile state and in a coalition with the BJP.#PegasusProjecthttps://t.co/DM7Pvm9WoE
— The Wire (@thewire_in) July 24, 2021
ভারত ছাড়াও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ এবং তাঁর সরকারের ১৪ জন মন্ত্রীসহ কয়েকজন ডজন কর্মকর্তার মোবাইল ফোন হ্যাকিংয়ের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ। ফরাসি দৈনিক ল্য মঁদ বলেছে, ম্যাক্রঁর একটি ফোন মরক্কোর গোয়েন্দা সংস্থা টার্গেট করেছে। যে ফোনটি তিনি ২০১৭ সাল থেকে ব্যবহার করছেন। ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ এবং ‘ দ্য গার্ডিয়ান’ বলছে, অ্যামনেস্টির সিকিউরিটি ল্যাবে ৬৭টি স্মার্টফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা করে ৩৭টির মধ্যে পেগাসাস সফটওয়্যার ঢোকানো হয়েছিল অথবা ঢোকানোর চেষ্টা হয়েছিল তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই খবর প্রকাশ হওয়ার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্টের অফিস৷ এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পত্রিকায় প্রকাশিত এসব তথ্য রিপোর্ট সত্যি হলে তা খুবই গুরুতর। সরকার সবকিছু তদন্ত করে দেখবে। এনএসও বলছে, তদন্তে সহায়তা করা হবে৷ কারণ, অভিযোগ গুরুতর৷ রাজনীতিক সহ ‘নিরপরাধ সাধারণ জনগণকে‘ এই সফটওয়্যার দিয়ে টার্গেট না করার জন্য ক্রেতাদের ওপর শর্ত দেওয়া হয়। তারপরও এমনটা হয় কীভাবে? কিন্তু, শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার তদন্তের ব্যাপারে কিছু না বললেও তাঁর মন্ত্রীদের দাবি, বিরোধীরা দেশের সম্মান নষ্ট করে উন্নয়নকে স্তব্ধ করতে চায়ছে।
"We repeat that as claimed by the Herzliya-based cyber company, sole responsibility does not lie with NSO, rather a major part of the responsibility lies with the Defence Ministry Export Controls Agency, which fails to carry out its duties faithfully. "https://t.co/tsvD8xtXSn
— The Wire (@thewire_in) July 24, 2021
এ কারণেই প্রশ্ন উঠছে, সফটওয়্যার নির্মাণকারী সংস্থা, ফ্রান্স, হাঙ্গেরির মতো দেশ তদন্তের কথা বললেও ভারস সরকার চুপ কেন? ভারতের সরকার ও বিরোধী পক্ষের নেতা, মন্ত্রী থেকে শুরু করে ৪০ জনের বেশি সাংবাদিক, শিল্পপতি, সমাজকর্মী, বিচারপতিদের ফোন হ্যাক করা না হলে তদন্তে অসুবিধা কোথায়? এনএসও-র থেকে পেগাসাস কেনা না হলে তা সরকারি ভাবে বলে দেওয়া হচ্ছে না? তবে, সরকার স্বীকার না করলেও নিউ ইয়ার্ক টাইমসের খবরে প্রকাশ, মরোক্কো, সৌদি আরব, বাহরিন, ভারত, মেক্সিকো-র কাছে এনএসও পেগাসাস কিনেছে। তাহলে কেন সাংবাদিক, সমাজ কর্মী, রাহুল গান্ধিদের উপর কেন প্রয়োগ করা হল? এই প্রশ্নের উত্তর মোদি সরকার,এনএসও-কে দিতে হবে।
Government officials around the world were part of the group of 1,400 WhatsApp users who were subjected to attempted attacks through the NSO Group’s spyware in 2019, the messaging app’s CEO Will Cathcart has disclosed in an interview to The Guardian. https://t.co/9PPtQHP3RS
— The Wire (@thewire_in) July 24, 2021