কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: পানিহাটিতে দই-চিঁড়ে মেলায় তীব্র ভিড় ও গরমের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৫ পুণ্যার্থীর। আহত অন্তত ৫০। রবিবারের এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানেন কী দই-চিঁড়ে মেলার ইতিহাস-মাহাত্ম্য?
পানিহাটির শ্রীচৈতন্য স্মৃতি বিজড়িত মহোৎসবতলা ঘাটে প্রায় পাঁচশ বছর আগে এই মেলা শুরু হয়। এই মেলার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। ১৫১৭ সালের জৈষ্ঠ্য শুক্লা ত্রয়োদশীর দিনে শ্রী নিত্যানন্দ মহাপ্রভু যখন পানিহাটির গঙ্গাতীরে বিশ্রাম করছিলেন, সেইসময় রঘুনাথ দাস গোস্বামী বাড়ি থেকে পালিয়ে সেখানে আসেন। দূর থেকে নিত্যানন্দ প্রভুকে দণ্ডবৎ প্রনাম করেন।
দণ্ড হিসেবে মালসা ভোগ ( চিঁড়ে, দই, কলা একসঙ্গে মিশিয়ে ফলাহার) খেতে চেয়েছিলেন মহাপ্রভু। মহাপ্রভুর নির্দেশে বৈষ্ণব সেবার অধিকার অর্জনের জন্য তিনি চিঁড়ে, দই, দুধ, সন্দেশ, চিনি, কলা মাটির গামলায় মেখে তা সবাইকে সেই প্রসাদ বিতরণ করেন। সেই থেকেই এই মহোৎসবের সূচনা। কথিত আছে, এই উৎসবের সময় অলৌকিক ভাবে স্বয়ং মহাপ্রভুও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: পানিহাটিতে মেলায় বিশৃঙ্খলা, মৃত্যু ৩ জনের, টুইটে শোকপ্রকাশ মমতার
মহাপ্রভুর মন্দিরের সেবাইত বঙ্কু বিহারী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘ভোর ৪-টেয় মঙ্গল আরতির মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। এই উৎসবের প্রস্তুতি ২ মাস আগে থেকে শুরু হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু ভক্ত আসেন। মূল মন্দিরে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর পদচিহ্ন এখনও বর্তমান আছে। এই উৎসবটি ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ, আমেরিকা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়ায় সাড়ম্বরে পালন করা হয়।’