হাওড়া : ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী পুজো বালিতে। বুড়িমার আটচালার পুজো। নদিয়ার চৈতন্য বংশীয় পন্ডিত রামভদ্র ন্যায় লঙ্কার জমিদারি পাট্টা পান রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কাছ থেকে। তারপর বালি গ্রামে বসবাস করতে আসেন। তার পৌত্র রাম গোবিন্দ ভট্টাচার্য আটটি চালা নির্মাণ করেন। তার মধ্যে একটি সংস্কৃতি শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করেন। এই আটচালা থেকে পুজোর নাম আটচালা বুড়িমার পুজো বলে বিখ্যাত হয়।
আরও পড়ুন : বীরভূমের অনাথ শিশু ও বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের পুজো পরিক্রমার দায়িত্ব নিল পুলিশ
গাঙ্গুলী পরিবার এই পুজো ৩৪ পুরুষ ধরে করে আসছে। বর্তমানে আর্থিক কারণে এই পুজোটি আর বাড়ির পুজো না থেকে সর্বজনীন পুজোয় পরিণত হয়েছে। মহালয়ার পরের দিন থেকেই এই পুজো শুরু হয়ে যায়। এই পুজোর সবথেকে বড় মাহাত্ম্য হচ্ছে সপ্তমীর দিন কুমারী পুজো হয়। বালির একটি নিয়ম আছে যে প্রথমে বালির বুড়িমা ঠাকুর বিসর্জন হবে পরে অন্য কোনও ঠাকুর বিসর্জন হবে। এই প্রতিমার বিশেষত্ব সিংহের রঙ সাদা এবং ঘোড়ার মুখের মতো হয়। কুমারী পুজোয় কুমারীকে প্রতিপদ থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত টানা এই ক’দিন কঠোর নিয়মের মধ্যে চলতে হয়। কুমারীকে ভোগ নিবেদনের পরই এলাকার সকলকে ভোগ বিতরণ করা হয়। এছাড়া সপ্তমীতে নবপত্রিকা স্নান মন্দির প্রাঙ্গণে করানো হয়। বিয়ের সময় যেভাবে নববধূকে বরণ করা হয়, সেই একই নিয়মে দেবীকে বরণ করা হয়।
বুড়িমার আটচালা দুর্গা