মডেল-অভিনেত্রী বিদিশার ময়না তদন্ত রিপোর্টে এসেছে আত্মহত্যা। তবু তার মৃত্যু নিয়ে নানান জল্পনার শেষ নেই। ২১ বছরের বিদিশার মৃতদেহের পাশে যে তিন পাতার সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে তাতে প্রেমের সম্পর্কের কোনো সমস্যার উল্লেখ নেই। তিন পাতার দীর্ঘই চিঠিতে মা-বাবা- বোন ও কাছের মানুষদের সকলের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সুইসাইড-নোট থেকে বেশ পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে ২১ বছরের বিদিশা বিনোদন জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়ে ছিলেন। বিদিশা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। পেশাগত চাপের জন্যই তাকে আত্মহননের পথ বেছে নিতে হয়েছে। জীবন যুদ্ধের এই লড়াইতে বিদিশা যে সাফল্য পাচ্ছিলেন না তা বলাই বাহুল্য। আশানুরূপ কাজ তিনি পাচ্ছিলেন না। কাজের আশায় তিনি কাকিনাড়া বাড়ি ছেড়ে নাগেরবাজারে ফ্ল্যাট নিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও তিনি দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তার সুইসাইড নোটে তিনি তা উল্লেখ করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যে ইন্ডাস্ট্রিতে সাফল্যের আলো দেখার আশা এইভাবে তরুণী মডেল-অভিনেত্রীদের অকাল মৃত্যুর পথে টেনে নিয়ে যাচ্ছে বলে মনোবিদদের ধারণা। এ জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায় প্রয়োজন হয় তা বোধহয় তারা বিশ্বাস করে না। কয়েকদিনের ব্যবধানে অভিনেত্রী পল্লবী দে কিংবা মডেল বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যু সেটাইই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।