কলকাতা : প্রয়াত সংগীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের(Sandhya Mukherjee) বাসভবনের ধ্বংসস্তুপে অবহেলায় পড়ে উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের(Ustad Bade Ghulam Ali Khan) ছবি।ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিলেন সংগীতশিল্পী কৌশিকী চক্রবর্তী(Koushiki Chakraborty)।ছবিটি উদ্ধারেরও যথাযথ ব্যবস্থা করেছেন তিনি।উস্তাদ বড়ে গুলাম আলির অন্যতম প্রিয় শিষ্যা ছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।দীর্ঘদিন উস্তাদজির কাছে সংগীতশিক্ষা নিয়েছিলেন তিনি।গীতশ্রীর বাড়িতে ছিল গুরুর একটি বড় ছবি।কিন্তু গতবছর ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াত হন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।নানা রকম জিনিষ,আসবাব আমি-দামী, শিল্পীর প্রয়াণের পর বাড়ির আরও অনেক কিছুই স্থান পেয়েছে বাতিলের তালিকায়।সেই তালিকায় ছিল উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের একটি ছবিও।বাড়ির সামনে ধ্বংসস্তুপে অবহেলায় পড়ে ছিল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গুরুর ছবি।সুদূর জার্মানিতে বসেও বিষয়টি জানতে পারেন সংগীতশিল্পী কৌশিকী চক্রবর্তী।নিজের এক পরিচিতাকে উস্তাদ বড়ে গুলাম আলির ছবিটি উদ্ধার করে আনতে বলেন তিনি।আপাতত সেই ছবি স্থান পেয়েছে কৌশিকির কলকাতার বাড়িতে।সদ্যই নিজের ফেসবুক পেজে পরিচিতাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে কৌশিকী জানিয়েছেন,সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষমতা দেখে বিস্মিত তিনি।গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ধ্বংসাবশেষে ভয়ঙ্কর অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল উস্তাদ বড়ে গুলাম খান সাহেবের ছবির ওই অবস্থা দেখে হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল তাঁর।আপাতত জার্মানিতে রয়েছেন কৌশিকী,এখনই কলকাতা ফেরার কোনও উপায় নেই।রীতিমতো অসহায় বোধ করেন তিনি।সোশ্যাল সাইটেই জনৈক পরিচিতাকে উস্তাদজির ছবিটি উদ্ধার করতে বলেন।
ছবিটি সংগ্রহ করেছেন শিল্পীর পরিচিতা।এবং কৌশিকির কলকাতার বাড়িতে পৌছে দেন।অজয় চক্রবর্তীর কন্যা ফেসবুকে লিখেছেন,তিনি নিশ্চিত শ্রদ্ধেয়া সন্ধ্যা পিসি জেনে খুশি হবেন যে তার গুরুর ছবি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।এবং পরম ভালবাসা এবং যত্নের সঙ্গে সবসময় রাখা হবে।সর্বদা সংগীতের মধ্যেই থাকবেন তিনি।ফেসবুক পোস্টের শেষেও সংগ্রহকারী পরিচিতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানিয়েছেন কৌশিকী।শ্রদ্ধেয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে প্রণাম জানিয়েছেন জনপ্রিয় শিল্পী।শ্রদ্ধার্ঘ দিয়েছেন উস্তাদ বড়ে গুলাম আলিকেও।সোশ্যাল মিডিয়ায় কৌশিকির এমন পোস্ট দেখার পর শোরগোল পড়ে যায়।উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খান সাবের মতো একজন কিংবদন্তীর ছবির সঙ্গে যারা এমন অসুরের মতো কাজ করতে পারেন,তাঁদের জ্ঞান এবং শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বং নেটিজেন।