সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার ঠিক এমনই এক দিনে ১৯৮০ সালে লক্ষ হৃদয় কাঁদিয়েএই জগৎ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন বাঙালির ম্যাটিনি আইডল উত্তম কুমার। তবে আজও তিনি সকল সিনে প্রেমী হৃদয়ের রাজা হয়ে বসে আছেন। তাঁর ছেড়ে যাওয়া শূন্য স্থান আজও অপূর্ণ থেকে গেছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে এসে তাঁকেই ধ্রুব তারার মতো দেখে চলে। বাঙালির এই গুরু কে আজ সিনে ইন্ডাস্ট্রির সকলেই নিজের মতো করে স্মরণ করলেন। অনেকে আবার গুরুপ্রণাম জানালেন সোশ্যাল মাধ্যমে। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় তাঁর পোস্টে মহানায়ককে ইন্ডাস্ট্রি বলে সম্বোধন করে লেখেন সবাইকে গুরু পূর্ণিমার শুভেচ্ছা।
অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় সব সময়ই বলেন তিনি উত্তম কুমারকেই অনুসরন করেন । আজ তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রামের পাতায় লেখেন ১৯৮০ সালে মহানায়ক অভিনয় করা বন্ধ করে দেন ঠিকই তবে তার পর থেকে তিনি সবার মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকেন। সকলের চিন্তনে বিরাজ করেন। এভাবেই তিনি শ্রদ্ধা জানান।
এই সময়ের ইন্ডাস্ট্রির দাদা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় মহানায়কের স্মরণে তাঁর স্যোশাল মাধ্যমে লেখেন উত্তম কুমার অদ্বিতীয়।
অভিনেতা অঙ্কুশের ইনস্টাগ্রামের পাতায় ম্যটিনি আইডল সম্পর্কে লেখেন তিনি ছিলেন, আছেন থাকবেন আমাদের সকলের মহানায়ক ,বাংলা ছবির মুকুট বিহিন সম্রাট। আভিনেত্রী ঋতুপর্ণার মতে , বাংলা ছবির জগতে মহানায়কের অবদান চিরস্মরণীয়।
পরিচালক অরিন্দম শীল তাঁর ইনস্টাগ্রামের পাতায় উত্তম কুমারের বেশ কিছু ছবি দিয়ে লেখেন ভারতীয় ছবির উজ্জ্বল তারকা তিনি ,ভারতীয় সংস্কৃতির অইকন, বাংলা ছবির জগতে ভার্সেটাইল অভিনেতা ও একমাত্র ম্যটিনি অইকন উত্তম কুমার ।
সত্যজিৎ রায়ের কথায়, “তাঁর মতো নায়ক কেউ নেই কেউ আসবেও না”।
তাই প্রজন্মের পর প্রজন্ম উত্তম কুমারের কারিশ্মায় মুগ্ধ হয়ে থাকবে।