কলকাতা: প্রকাশ হওয়ার পর ৯৫ বছর কেটে গিয়েছে। মার্কিন কপিরাইট আইন থেকে মুক্তি পেল টিনটিন (Tintin) , কুট্টুস, ক্যাপ্টেন হ্যাডক (Captain Haddock) আর প্রফেসর ক্যালকুলাস। আগে তারা তিব্বত, সোভিয়েত ইউনিয়ন, কঙ্গো, গিয়েছে দল বেঁধে, এখন তারা স্বাধীন। এবার তাদের বই যেখানে খুশি সেখানে যাবে।
টিনটিনকে প্রথম বাংলায় অনুবাদ করে বাঙালির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। কপিরাইট উঠে যাওয়ায় এবার সম্ভবত আরও কম দামে আম-বাঙালির হাতে উঠবে টিনটিনের বই। আরও অনেক ভারতীয় ভাষায়ও অনুবাদও হবে ‘অ্যাডভেঞ্চার্স অফ টিনটিন’ (Adventures of Tintin) ।
আরও পড়ুন: ফের মা হচ্ছেন ইলিয়ানা?
২০২৫-এর পয়লা জানুয়ারি মার্কিন কপিরাইট আইন থেকে মুক্তি পেল শুধু টিনটিন নয়, এলজি ক্রাইসলার সিগারের কার্টুন ‘পপাই দ্য সেলর’, আর্নেস্ট হেমিংওয়ের ‘দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি’, ‘ফর হুম দ্য বেল টোলস’, ‘আ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস’-এর মতো সব কালজয়ী উপন্যাসও। তবে এর মধ্যে টিনটিন-ই, ছোটরা তো বটেই এমনকী বড়দের কাছেও দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এখন যে কেউ এই সব বই ছাপতে পারবে, পিডিএফ শেয়ার করতে পারবে। তার জন্য কোনও মূল্য দিতে হবে না।
অ্যাডভেঞ্চার্স অফ টিনটিন সিরিজের বইয়ের লেখক এবং শিল্পী ছিলেন হার্জ যার আসল নাম ছিল জর্জেস রেমি। ছিলেন বেলজিয়ান। তাঁর প্রথম বই ১৯৩০-এ। টিনটিন ইন দ্য ল্যান্ড অফ সোভিয়েত। সোভিয়েত ইউনিয়ন অবশ্য আর নেই। কিন্তু টিনটিনের অ্যাডভেঞ্চার রয়ে গেল শুধু নয়, এখনও সমান জনপ্রিয়। এর পর একে একে বেরিয়েছে টিনটিন ইন টিবেট, টিনটিন ইন কঙ্গো, দ্য ব্লু লোটাস, সিগারস অফ দ্য ফ্যারাও। সব শেষ বই ১৯৮৬ সালে টিনটিন অ্যান্ড আলফ-আর্ট। ডেস্টিনেশন মুন বইটি বেরিয়েছিল ১৯৫৩ সালে। নিল আর্মস্ট্রং চাঁদে নামার ১৬ বছর আগে। টিনটিন সিরিজের মোট বইয়ের সংখ্যা ২৪টি। মোট ১১০টি ভাষায় ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে টিনটিন। হয়তো সেই সংখ্যা এবার আরও বাড়বে।
দেখুন অন্য খবর:
The post কপিরাইটের জাল থেকে মুক্তি পেল টিনটিন, হ্যাডক, ক্যালকুলাস first appeared on KolkataTV.
The post কপিরাইটের জাল থেকে মুক্তি পেল টিনটিন, হ্যাডক, ক্যালকুলাস appeared first on KolkataTV.