জনপ্রিয় অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া ও বিজয়া ভার্মার প্রেমের সম্পর্কের খবরে এখন সকলের নজর রয়েছে। তার মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ওয়েব সিরিজ ‘জি কারদা’য় সুহেল নায়ারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের ছবি অভিনেত্রী কে বিতর্কের মুখে ফেলে দিয়েছে। তামান্নার ছবির ঝলক এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। ছবিতে সুহেলের সঙ্গে এক সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করে চরম বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছেন ‘বাহুবলি’ অভিনেত্রী।
ইতিমধ্যেই নেট দুনিয়ার ছড়িয়ে পড়েছে তামান্নার টপলেস ছবি এবং ভিডিওর ঝলক। রূপোলি পর্যায় এই ধরনের অন্তরঙ্গ দৃশ্যের জন্য প্রথমবার টপলেস হলেন তামান্না। দুদশকের দীর্ঘ কেরিয়ারে এই ধরনের দৃশ্যে তামান্নাকে আগে কখনোই দেখা যায়নি।
সম্প্রতি মুম্বইয়ের ডিএনএ পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামান্না-সুহেল এই ধরনের ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় যাতে আরও সহজ-সাবলীল হয় সেজন্য সহায়তা কড়াই পরিচালক অরুনিমা শর্মাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
‘জি কারদা’তে তামান্না ও সুহেল লাবণ্য ও ঋষভের চরিত্র অভিনয় করেছেন। তো তুমি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করার ব্যাপারে তামান্না ভাটিয়া জানিয়েছেন,’এই ধরনের বোল্ড দৃশ্যগুলো চরিত্রের জীবনযাত্রাকে তুলে ধরার জন্যই রাখা হয়েছে। দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নয়। খুব স্বাভাবিকভাবেই দৃশ্যগুলো চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে এসেছে। বিশেষত যখন কোন সম্পর্কের গল্প পর্যায় প্রতিফলিত হয় তখন এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সত্যিটাকে তুলে ধরা। লোক এটা পছন্দ করুক বা না করুক এটাই সত্যি। সোহেল এমন একজন অভিনেতা যার সঙ্গে কাজ করার সময় আমি অস্বস্তি বোধ করিনি। সোহেল এবং আমি আমাদের চরিত্র গুলোর মধ্যে ঢুকে পড়েছিলাম। এখানে শারীরিক সম্পর্কটা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ছিল।
তামান্নার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করার অভিজ্ঞতার কথা অভিনেতা সুহেল জানাতে কোন দ্বিধাবোধ করেননি। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ‘উড়তা পাঞ্জাব’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন সুহেল। সুহেল জানিয়েছেন এটিই ছিল তাঁর পর্দায় প্রথম অন্তরঙ্গ দৃশ্য। ‘সেটে প্রথম দিন আমি সত্যিই নার্ভাস ছিলাম। তামান্না আমাকে অনেকটাই সহজ করে দিয়েছিলেন। প্রথমে আমার মনে হয়েছিল ও মাই গড! এটা আমি কি করে করব! তামান্নাও বলেছিল ওর নার্ভাস লাগছে। তারপর আমরা দুজনেই একটা স্রোতের সঙ্গে ভেসে গেলাম। ওয়ার্কশপটা আমাদের খুব সাহায্য করেছে। ফাইনাল শট-এর সময় আমরা চরিত্র দুটোর মধ্যে ঢুকে পরস্পরের কাঁধে-কপালে চুম্বন এবং আরও এলোমেলো প্রচুর চুমু খেয়েছি। নাকি কামড় দিয়েছি। সবটাই চরিত্রের মধ্যে ঢুকে করেছি’।