২০১৯ সালের অগস্ট মাসে বাংলাদেশের একটি ছবিতে বলিউডের হট অভিনেত্রীর একটি আইটেম গানে নাচার কথা ছিল। ছবির পরিচালক শামীম আহমেদ রনি এ খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলি অভিনেত্রীর চুক্তিবদ্ধ হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন। তারপর কোন এক সময় এই আইটেম গানের শুটিং করা হয়েছিল। এটিই ছিল বলিউড হার্টথ্রব সানি লিওনির বাংলাদেশ ছবিতে প্রথম কাজ। ছবিটির নাম ‘বিক্ষোভ’।
আরও পড়ুন: নগ্ন সানির টুপিই সম্বল
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে ছবিটি ছাড়পত্র পেয়ে গেছে। বাংলাদেশের দর্শকরা তাদের ছবিতে সানি লিওনিকে এবং তার নাচ দেখবে বলে উন্মুখ হয়ে ছিল। তাদের কথায় তাহলে এবার কি ঢালিউড কাঁপাতে দেখা যাবে সানিকে! কিন্তু না। সানির ভাগ্য সহায় নয়। হিন্দি ভাষায় এমনকি দক্ষিণ ইরা পাঞ্জাবি গানে যখন সানি কোমর দুলিয়েছেন তখন বাংলায় করতে আর সুবিধা কি! তাই অনেক আশায় মন বেঁধেছিলেন বাংলাদেশের দর্শকরা।
কিন্তু এক্ষুনি সে আশা পূর্ণ হচ্ছে না। গানটির শুটিং হয়েছে মুম্বইয়ে বলে খবর। এর জন্য নাকি প্রচুর টাকা খরচ করে সেট বানানো হয়েছিল। এখন শোনা যাচ্ছে কোনো এক কারণে সানির ওই গানের অংশ সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়নি। ফলে ‘বিক্ষোভ’ মুক্তি পেলেও পর্দায় থাকবেন না সানি।শোনা যাচ্ছে ব্যাপারটা নিয়ে সানি কিছুটা হলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া বিদেশি শিল্পীরা কাজ করতে পারবেন না, এমনটাই সে দেশের আইনে আছে। শোনা যাচ্ছে কোনরকম অনুমতি না নিয়েই ‘বিক্ষোভ’ এ সানিকে নাচানো হয়েছে। তাই সেন্সর বোর্ডে সানির অংশটুকু জমা দেওয়া হয়নি। পরিচালক শামীম এব্যাপারে সাফাই দিয়ে বলেছেন, ‘যে সময় আমরা সানি লিওনের সিডিউল তৈরি করেছিলাম তখন আমাদের হাতে অনুমতি নেওয়ার সময় ছিল না।
খুবই তাড়াহুড়োর মধ্যে কাজটি করতে হয়েছিল। ছবির শুটিং হয়েছিল মুম্বইতেই। ভেবেছিলাম পরে বাংলাদেশ ফিরে অনুমতির বিষয়টি ঠিক করে নেওয়া হবে। কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি। ফলে সরকারের নিয়ম মেনে ‘বিক্ষোভ’ থেকে সানিকে সরিয়ে দিতে হলো’। তিনি অবশ্য বলেন, এই ছবির প্রযোজনা সংস্থা কিছুদিনের মধ্যে অঙ্কুশকে নিয়ে একটি ছবি করতে যাচ্ছে। সম্ভবত সেই ছবিতে সানির এই আইটেম গানটি থাকতে পারে।’সানির এই আইটেম গান ‘বেবি ডল বেবি ডল’ এ সানির সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা রাহুল দেব এবং বাংলাদেশের শান্ত খান।