করিনা কাপুর সব সময়ই ছবির বিষয় এবং তার নিজের চরিত্রটি নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসেন। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি সম্পর্কে তার শাশুড়ি অর্থাৎ বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের পছন্দ সম্পর্কে একটি মন্তব্য করেছিলেন। করিনা বলেছিলেন, “শর্মিলা তাকে গ্ল্যামারাস চরিত্রে দেখতে বেশি পছন্দ করেন। বিশেষত সালমান খানের ‘দাবাং ২’ ছবিতে তার ‘ফেবিকল’ গানটির সাথে নাচ ভীষণভাবে উপভোগ করেছেন”। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে অভিনেতা সাইফ আলী খানের সঙ্গে কারিনা কাপুরের বিয়ে হয়। তার ফলে শর্মিলা-করিনার মধ্যে শাশুড়ি- বৌমার মিষ্টি সম্পর্ক তৈরি হয়।
২০১৫ পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শর্মিলা সম্পর্কে করিনা একথা বলেন। শর্মিলা করিনাকে সবসময় সেক্সি এবং গ্ল্যামারাস চরিত্রে অভিনয় দেখতে চান। এ সম্পর্কে করিনা মন্তব্য করেন, যে এটা আমার কাছে প্রশংসার মতন। শুধু তাই নয় এটা আমার কাছে একটা অনুপ্রেরণা কারন বিয়ের পরেও আমাকে গ্ল্যামারাস চরিত্রে এখনো মানায়। আর তাছাড়া আমি এই ধরনের চরিত্র নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা পছন্দ করি। বিয়ে এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার পরেও করিনার কেরিয়ার অব্যহত রাখার পেছনে শর্মিলাকে অন্যতম অনুপ্রেরণা বলে অভিহিত করেন। করিনা আরো বলেন,তিনি(শর্মিলা) কেরিয়ার এবং পরিবারকে একইসঙ্গে চালিয়ে নিয়ে যাবার জন্য আমার কাছে সর্বদাই অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। এ বছরের শুরুর দিকে করিনা তার দ্বিতীয় পুত্র জেহকে স্বাগত জানিয়েছেন। গর্ভবতী থাকার সময়ও করিনার কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ছিল দৃষ্টান্ত স্বরূপ। আমির খানের লাল সিং চাড্ডা ছবিতে গর্ভাবস্থায় যেমন তিনি কাজ করেছেন,তেমনি তিনি টিভিতে নিজের টকশো ‘হোয়াট উইমেন ওয়ান্ট’ চালিয়ে গেছেন।
করিনা কাপুর খান এর সম্প্রতি লেখা নিজের একটি বইতে লিখেছেন, সইফ ও শর্মিলা তাকে সব সময় কাজ চালিয়ে যাওয়ায় উৎসাহ দিয়েছেন। বইয়ের প্রথম অংশে করিনা লিখেছিলেন, ‘আমার শাশুড়ি আমাকে প্রথম বলেছিলেন যে আমাকে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। তার পরামর্শ ছিল আমি যা চাই তা যেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করি। আমার মতে শর্মিলা ঠাকুর ছবিতে দুর্দান্ত কিছু কাজ করেছিলেন। তার বিয়ে এবং বাচ্চা হবার পরেও তিনি যেভাবে কাজ করেছেন সেটা সত্যি একটা অরূপ অনুপ্রেরণা ছিল’।