ওয়েব ডেস্ক: সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) জন্য বড় ধাক্কা। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট (Madhyapradesh High Court) ভোপালের নবাব পরিবারের ‘পৈতৃক সম্পত্তি’ নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁর করা দীর্ঘদিনের মামলা শেষমেশ খারিজ করে দিল। শুক্রবার ভোপাল হাইকোর্ট এই রায় দেয়। অর্থাৎ, প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার জমি-সম্পত্তি এখন সরকারের অধীনে চলে গেল।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৪ সালে। সেই বছর মধ্যপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করে, ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের সম্পত্তি ‘Enemy Property Act, 1968’-এর আওতায় শত্রু সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ এই সম্পত্তিকে বিদেশি সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করে তা সরকারের অধীনে আনা হবে। কারণ, নবাব হামিদুল্লাহ খানের কন্যা আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকাপাকি ভাবে পাকিস্তানে বসবাস শুরু করেন। সেই সূত্রেই এই সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: শরীরের ছাঁচে বসানো পোশাক, ফের ভাইরাল উরফির নতুন লুক
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে আবেদন করেন সাইফ আলি খান। দীর্ঘ দিন স্থগিতাদেশ জারি থাকলেও, ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর আদালত সেই স্থগিতাদেশ তুলে নেয়। অবশেষে এ বছর জুলাই মাসে সাইফের আবেদনও খারিজ করে দেন বিচারপতিরা।
ভোপালের কোহেফিজা থেকে চিকলোড় পর্যন্ত বিস্তৃত যে জমি নিয়ে এত বিতর্ক, তার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। এই জমির উপর সাইফ এবং পতৌদি পরিবারের ঐতিহাসিক দাবি থাকলেও, ‘Enemy Property Act’ অনুযায়ী স্থায়ীভাবে পাকিস্তান বা চীনে চলে যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পত্তির উপর তাঁদের উত্তরসূরিদের আর কোনও আইনি অধিকার থাকে না। সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পূর্ণ অধিকার সরকারের হাতে থাকে।
এখন স্পষ্ট, ভারত সরকারের চোখে আবিদা সুলতান একজন ‘শত্রু রাষ্ট্র’ পাকিস্তানের নাগরিক। তাই তাঁর নামে থাকা যে কোনও সম্পত্তি ভারতের শত্রু সম্পত্তি আইনের আওতায় পড়বে। এবং সাইফ আলি খান যতই তাঁর বংশধর হন না কেন, তাঁর আর সেই সম্পত্তির ওপর কোনও অধিকার থাকছে না।
দেখুন আরও খবর: