টলি-অভিনেত্রী পল্লবী দের মৃত্যুর ঘটনায় অভিনেত্রীর মা-বাবা মেয়ের লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক এর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনেছেন। সাগ্নিক নিজের যে আয়ের হিসেব পুলিশকে নাকি দেখিয়েছে তার তুলনায় আয় অনেক বেশি। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার জন্য পল্লবীর মা-বাবাকে পুলিশ ডাকতে পারে বলে ধারণা। গড়ফা থানার গাঙ্গুলী পুকুর এলাকায় একটি ফ্ল্যাট থেকে অভিনেত্রী পল্লবীর মৃতদেহ উদ্ধার করার পর পুলিশ সাগ্নিককে গ্রেফতার করে। ন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। পল্লবীর পরিবারের তরফ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও আনা হয়। পাশাপাশি বেআইনিভাবে সাগ্নিক আয় করতে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারী অফিসাররা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন যে নিউটাউনে একটি কল সেন্টার চালাতেন সাগ্নিক। কি ধরনের কাজকর্ম সেখানে হতো তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একটি সূত্র জানিয়েছে কল সেন্টারের সমস্ত কর্মীকে বেতন হিসেবে নগদ টাকা দিতেন সাগ্নিক। সেই জন্য কল সেন্টারের কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এত কম টাকায় কিভাবে এই ধরনের বিলাসবহুল জীবনযাপন করতো সাগ্নিক তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। পল্লবীর পরিবারের কাছ থেকেও আয় সংক্রান্ত সমস্ত নথি চেয়ে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত পল্লবীর ভাই জিৎ রাজারহাটে সাগ্নিকের কল সেন্টারে যাতায়াত করতো। তা নিয়ে গড়ফা থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। জানা গেছে সাগ্নিকের মাসিক আয় ছিল প্রায় ২০ হাজার টাকা। অথচ এই সামান্য মাইনের চাকরি নিতে বিলাসবহুল জীবনযাপন কিভাবে করত সাগ্নিক! এমন কি কাজ করতো সাগ্নিক, যে এই ধরনের বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে পারত! লক্ষ লক্ষ টাকার উপহার থেকে অডি গাড়ি কি ছিল না সাগ্নিকের। এমনটাই জানাচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সাগ্নিকের আয়ের উৎস।