শুনলে অবাক লাগে,তা হলেও সত্যি। বলিউড সুপারস্টারের অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং ব্যবসাসফল এক ছবি পরিচালনা করতে অস্বীকার করেছিলেন ‘বাহুবলি’ খ্যাত পরিচালক এস এস রাজমৌলি। অথচ এই জনপ্রিয় ছবির গল্পও লিখেছিলেন যিনি ‘বাহুবলি’র লেখক। অর্থাৎ কে ভি বিজেয়ন্দ্র প্রসাদ। শুনলে অবাক লাগবে দক্ষিণের এই প্রখ্যাত লেখক সম্পর্কে রাজমৌলির পিতা হন।কঙ্গনা রাণৌতের ‘মর্ণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ সিনেমাও তার লেখা। হ্যাঁ, বলিউডের সুপারস্টার সলমন খানের ‘বজরাঙ্গি ভাইজান’ ছবিটির গল্পও কে ভি বিজেয়ন্দ্র প্রসাদের লেখা।এক সাক্ষাৎকারে বিজয়ন্দ্র বলেছিলেন, ‘বজরাঙ্গি ভাইজান’ ছবির গল্পটি তিনি প্রথম তার ছেলে রাজমৌলিকে শোনান। কিন্তু রাজমৌলি নাকি গল্পটি নিয়ে কোন আগ্রহ দেখাননি। লেখক বিজয়ন্দ্র একটু অবাকই হয়েছিলেন। পরে ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন কবির খান। অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং ব্যবসাসফল এই ছবিটি ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত।এই ছবি শেষ পর্যন্ত ব্যবসা করেছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার। ২০১৫ সালে ১৭ জুলাই মুক্তি পায় ছবিটি।২০১৫ তে মুক্তি পাওয়া ছবিটিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল সলমন খান, করিনা কাপুর এবং হর্ষালী মালহোত্রা। ছিলেন নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীও। ছবিতে মুন্নি ওরফে হর্ষালীর অভিনয় আজও আলোচনার বিষয়। হংসালী যখন ছবিটি করেছিল তখন সে ছিল মাত্র ছয়-সাত। এখন সে কিশোরী। তাই ছবিটি সিকুয়াল এলে তাতে মুন্নির চরিত্র রাখা হবে কিনা সে বিষয়ে যদিও এখনও মুখ খোলেননি পরিচালক থেকে চিত্রনাট্যকার।
বিজয়ন্দ্র প্রসাদ আরও জানিয়েছেন, ‘বজরাঙ্গি ভাইজান ২’ ছবির পরিকল্পনা চলছে। সুন্দর গল্প তৈরি করতে পারলে এটি যথেষ্ট জনপ্রিয় হবে বলে তিনি মনে করেন। এ বিষয়ে একটি আইডিয়া ইতিমধ্যে তিনি সলমনকে শুনিয়েছেন। জানা যাচ্ছে বলিউড ভাইজানের তা না কি পছন্দও হয়েছে। বিজয়ন্দ্র বলেন, ‘সলমনের সঙ্গে এমনিতে দেখা হলে বজরাঙ্গি ভাইজান ছবির সিক্যুয়েল নিয়ে কথা বলেছিলাম। আমার আইডিয়া শুনে তিনি খুবই উচ্ছ্বসিত হন এবং বলেন এটি খুবই চমৎকার আইডিয়া।’