সম্প্রতি সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আরণ্যক’ উপন্যাসের চলচ্চিত্রমূলক চিত্রনাট্য বই আকারে প্রকাশিত হলো। দক্ষিণ কলকাতার একটি নামজাদা শপিংমলের বুকস্টোরে চয়নিকা চক্রবর্তীর লেখা ‘আরণ্যক, এক জীবনালেখ্য ‘ শীর্ষক বইটির উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিত্রপরিচালক গৌতম ঘোষ, চলচ্চিত্রবিদ সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, কবি অমিতাভ গুপ্ত এবং বইটির প্রচ্ছদশিল্পী চিত্রকর মলয় দাস। এছাড়াও বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে ছিলেন বিভূতিভূষণের পুত্রবধূ মিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরো পড়ুন: Sohini Guha Roy Hindi Serial: টেলিপাড়া থেকে হিন্দি ধারাবাহিকে ডেবিও?
প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালে প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক ঋত্বিক ঘটকের সহকারী অজিত লাহিড়ী প্রথম বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উপন্যাস নিয়ে একটি ছবি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু সেই ছবি তেমন সাড়া ফেলতে পারিনি। এমনকি সত্যজিৎবাবু দেখেও আদৌ খুশি হননি বলে জানা যায়। যদিও ছবির চিত্রনাট্য লেখার কাজ করেছিলেন সাহিত্যিক সমরেশ বসু এবং মৃগাঙ্কশেখর রায়।। কিন্তু তারও আগে পরিচালক ঋত্বিক ঘটক ‘আরণ্যক’ নিয়ে কাজ করেছিলেন। পরিচালকের জীবনের শেষ পর্বে এসে তিনি চিত্রনাট্য তৈরি করেও প্রযোজক পাননি। তার ফলে ছবিটি তৈরি হয়নি। ঠিক যেমনটি হয়েছিল ‘সংসার সীমান্ত’র ক্ষেত্রে।
নতুন প্রজন্মের লেখিকা চয়নিকার হাত ধরে বই আকারে এই প্রথম প্রকাশিত হলো ‘আরণ্যক’ এর চিত্রনাট্য। দীর্ঘ ১২ বছর সময় লেগেছে লেখিকার প্রায় ৫০০ পাতার এই বইটি লিখতে। বইটির মধ্যে বেশ কিছু ইলাস্ট্রেশন এবং স্টোরিি বোর্ড আছে।সাহিত্য এবং চলচ্চিত্র যে একেবারে ভিন্ন দুটি মাধ্যম তা সকলেই এই বই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা আর একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও সেকথা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন বলে বক্তারা মনে করেন। যদিও তার লেখা ‘পথের পাঁচালী’ নিয়ে ছবি করেছিলেন বরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়। কিন্তু বক্তাদের অনেকেরই ধারণা লেখা এবং ছবির ভাষা এক ছিল না। এখন দেখার নতুন প্রজন্মের লেখিকা চয়নিকার চিত্রনাট্য নিয়ে কোনও পরিচালক এগিয়ে আসেন কী না!। সময় একমাত্র উত্তর দেবে তার।