বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বেশ কয়েকদিন ধরে তার বিয়ের পিঁড়িতে বসার খবর প্রকাশিত হচ্ছে। চলতি বছরের শেষের দিকে বাগদান সারা হবে এবং আগামী বছরের শেষের দিকে নাকি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে ‘ওগো বধূ সুন্দরী’র ললিতার।। সংবাদমাধ্যমের এই সমস্ত খবরে প্রকাশ্যে শুরু হয় নানান জল্পনা।অনেকেই তাকে শুভেচ্ছা জানান। জনপ্রিয় টেলিভিশন নাটক ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ খ্যাত ঋতাভরী চক্রবর্তী অবশ্য এ নিয়ে কারোর কোন প্রশ্নের উত্তর দেন নি। অবশেষে গতকাল ঋতাভরী তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে বিয়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘খুব শিগগিরই বিয়ে করছি না। দুটো পরপর সার্জারির ধাক্কা সামলে উঠেছি। এখন আমার ফোকাস নিজের স্বাস্থ্য এবং চুক্তিবদ্ধ হওয়া নতুন প্রজেক্ট এর কাজ’। বিয়ের খবরে যারপরনাই ঋতাভরী দারুন বিরক্ত। তিনি লিখেছেন দয়া করে এই বিষয় নিয়ে আর কেউ কিছু লেখালেখি করবেন না। এমনকি আমাকে ফোন করবেন না; আমার বিয়ের বিষয় নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না’। ঋতাভরী হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে জানি না কোথা থেকে মিডিয়া এ খবর পেয়েছেন?
‘ওগো বধূ সুন্দরী’ ধারাবাহিকের পরে ২০১১ সালে ‘তোমার সঙ্গে প্রাণের খেলা’ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রেখেছিলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। চলচ্চিত্রটি যদিও মুক্তি পায়নি। ২০১২ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম ছবি ‘তবু বসন্ত’। এছাড়া তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো চতুষ্কোন,’বারুদ’, ‘পরী’, ‘শেষ থেকে শুরু’।করোনা-কালে ঋতাভরীকে নানা ভাবে সাধারণ মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে। কখনও দুঃস্থ প্রবীণদের করোনার টিকাকরণ করিয়েছেন। কখনও ডিপ্রেশন এবং অন্যান্য মনোরোগের সমাধানে হেল্পলাইন চালু করেছেন সাধারণের জন্য। ‘দ্য আইডিয়াল স্কুল ফর দ্য ডিফ’ নামে সল্টলেকের একটি স্কুল চালান। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় থাকেন অভিনেত্রী। তাঁর সোশ্যাল পেজে উঁকি মারলেও দেখা যায় তাঁর বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচীর ছবি ও ভিডিয়ো।এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলামেলা ছবি পোস্ট করার ক্ষেত্রেও টালিউডে তার জুড়ি নেই।
সোমবার ২৬ জুলাই হঠাৎ করেই ঋতাভরীর বিয়ের খবর রটে যায়। প্রায় সব সংবাদ মাধ্যমে লেখা হয়, চলতি বছরের শেষেই বাগদান পর্বে সেরে ফেলতে পারেন ঋতাভরী। বন্ধু তথাগত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন অভিনেত্রী। তবে খবর যে শুধুমাত্র জল্পনাই, তা স্পষ্ট করে দিলেন নিজেই ঋতাভরী।