ঢাকা: হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনায় আলোড়িত বাংলাদেশ৷ তারই প্রতিবাদে চট্টগ্রামের রাজপথে নেমে বিক্ষোভ দেখালেন বাংলাদেশের মানুষ৷ সংখ্যালঘু হিন্দু ভাই-বোনদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই মাস্টারদা সূর্য সেনের শহরের রাজপথে পা মেলাতে দেখা যায় কাতারে কাতারে মানুষকে৷ সকলেই একসুরে মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন৷ সেই সঙ্গে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানান৷
আরও পড়ুন: বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা হলেই জাতীয় নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা, কৃষকদের সর্তকবার্তা যোগীর পুলিশের
পবিত্র কোরানের অসম্মানের অভিযোগকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুজোর সময় কুমিল্লার একাধিক পুজো মণ্ডপ এবং মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে৷ ধীরে ধীরে তার রেশ ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের এলাকাতে৷ হামলাকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারান চার জন৷ মন্দিরে হামলার ঘটনায় ওপাড় বাংলায় থমথমে পরিস্থিতি৷ তার মধ্যেই ইসকন মন্দিরে হামলা করে একদল দুষ্কৃতী৷ খুন করা হয় দু’জনকে৷ ওই ঘটনা নাগরিক সমাজের মনে জ্বলতে থাকা আগুনে যেন আরও ঘি ঢেলে দেয়৷ এর পরই চট্টগ্রামের রাস্তায় প্রতিবাদে সামিল হন হাজার হাজার নারী-পুরুষ৷
আরও পড়ুন: গড়িয়াহাটে জোড়া খুন, একই বাড়ি থেকে উদ্ধার মালিক ও চালকের মৃতদেহ
অন্যদিকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান রবিবার জানান, পরিকল্পনা করেই দুর্গামণ্ডপে হামলা করা হয়েছে৷ পুলিশের তদন্ত সেই দিকেই ইশারা করছে৷ বাংলাদেশের সম্প্রীতি নষ্ট করতেই এটা করা হয়েছে৷ কুমিল্লার ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সমস্ত তথ্য প্রমাণ হাতে পাওয়ার পরই সবাই সবটা জানতে পারবেন৷ এবং দোষীদেরও কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে৷ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন কোনও নতুন ঘটনা নয়৷ রামু এবং নাসিরনগরের হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা সামনে এসেছে৷ সেদেশের সংবাদমাধ্যম ঢাকা ট্রিবিউনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে হামলার কথা মেনে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খান জানান, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে৷ তবে শনিবার রাতের পর আর কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা সামনে আসেনি৷ সব জায়গায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ যারা দেশের শান্তি নষ্টের চেষ্টা করছে তারা সফল হবে না৷