‘একমাত্র মা বুঝতে পারতেন মেয়ের কান্নার কারণ কি! সেইসব অসুস্থতার দিনগুলোতে বিভিন্ন কারণে কেঁদে ফেলতাম আমি’। ডিপ্রেশন একসময় গ্রাস করেছিল বর্তমান বলিউড হার্টথ্রব অভিনেত্রীকে। ডিপ্রেশন কোন লুকিয়ে রাখার বিষয় নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজন; বিশেষজ্ঞরা সব সময় এসে কথা বলে থাকেন। শব্দ এক সাক্ষাৎকারে বলিউড হার্টথ্রব দীপিকা পাড়ুকোনের সেই সব পুরনো দিনের স্মৃতি শেয়ার করেছেন। তিনি তার মায়ের কথা উল্লেখ করে বারবার বলেছেন একমাত্র তার মা উজ্জ্বলা পাড়ুকোনে তার কান্নার কারণ বুঝতে পারতেন। গ্লামার খ্যাতি যশ প্রতিপত্তি সঙ্গী কি নেই দীপিকার! তার পরেও সঙ্গী ছিল তার ডিপ্রেশন। দীপিকা কান্নার কারণ ব্যাখ্যা করে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেছেন, কাজের টেনশন কিংবা বয়ফ্রেন্ড জনিত সমস্যা তৈরি হলে যেভাবে কোন মানুষ ভেঙে পড়ে, যেভাবে কেঁদে ফেলে, দীপিকার শেষ মায়ের কান্না তার থেকে একেবারে অন্যরকম ছিল। আর সেই কান্নার অর্থ একমাত্র তার মা উজ্জ্বলা দেবী বুঝতে পারতেন।
বলিউড নায়িকা এক নিঃশ্বাসে বলে গেলেন, ডিপ্রেশন এর আগে তার একটা আলাদা জীবন ছিল তারপরের জীবনটা একেবারেই অন্যরকম। একটা সময় ছিল যখন একদিন ও মানসিক সমস্যা নিয়ে ভাবিনি,’ এমনটা হয়নি। এই অবস্থায় যাতে আবার ফিরে যেতে না হয় তার জন্য আমার খাওয়া ঘুম শরীরচর্চার ওপর বিশেষ নজর দিতে হয়েছিল। স্ট্রেস কম করতে হয়। এটা প্র্যাকটিসের মধ্যে দিয়ে অভ্যাস করতে হয়। নিয়মিত করতে হয়। দীপিকার কথায়, ‘এই অভ্যাসগুলো না করলে আমি বেঁচে থাকতে পারতাম না।’
ডিপ্রেশনের কথা দীপিকা এর আগেও বলেছে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে তার মানসিক অসুস্থতা শুরু হয়েছিল। সবকিছু তার কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগতো। জীবনের কোন অর্থ খুঁজে পেতেন না। দীপিকা শেয়ার করেছিলেন, যে একদিন তার মা-বাবা চলে যাবে বলে ব্যাগ গুছিয়ে নিচ্ছে। সেই ঘরে দীপিকাও ছিলেন। হঠাৎ তিনি কেঁদে ফেলেন। মা তখন বুঝতে পেরেছিলেন অন্য ধরণের কোন একটা সমস্যা হয়েছে। দীপিকার কথায় এই কান্নাটা অন্য কান্নাগুলো থেকে আলাদা। দীপিকার মা জানতে চেয়েছেন কেন তিনি কাঁদছেন? কিন্তু দীপিকা এর কোন সুনির্দিষ্ট কারণ বলতে পারেননি।