বিয়ের পর সাধারণ ঘরের মেয়েদের জীবনযাত্রায় একটা পরিবর্তন আসে। সাধারণ মেয়েদের মত ছেলেদের জীবনে কি একই ঘটনা ঘটে! রুপোলি পর্দায় অভিনয় করে দেখা গেছে বিয়ের পর অনেক অভিনেত্রী জীবনে পরিবর্তন আনতে হয়েছে বা এসেছে। ষাটের দশকের শেষে এবং সত্তরের দশক ও আশির দশকে রুপোলি পর্দায় অভিনয় করেছিলেন নিতু সিং। বিয়ের পর নিতু সিং কাপুরের জীবন সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। অভিনয় জগৎ থেকে সম্পূর্ণ সরে আসতে হয় তাকে। ক্রমেই মৃত্যুর পরিচয় হয়ে দাঁড়ায় ঋষি কাপুরের স্ত্রী এবং ঋদ্ধিমা ও রণবীরের মা। কথিত আছে বলিউডে কাপুর খানদানে বাড়ির স্ত্রীরা বিয়ের পর বাইরে কাজ করে না। যদি কাজ করতেই হয় তবে স্বামীর সঙ্গেই কাজ করে। নিতুর ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ঋষি কাপুরের সঙ্গে বিয়ের পর বলিউড আলবিদা জানিয়ে তার বহু ভক্তেদের মন ভেঙে দিয়েছিলেন নিতু। ছেলেমেয়েরা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অনেক বছর পর অবশ্য তিনি ঋষির বিপরীতে দুটি ছবি করেছিলেন। ছবি দুটি হলো ‘দো দুনি চার’ ও ‘বেশরম’।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ৩০ এপ্রিল লকডাউন এর মধ্যেই স্বামী ঋষি কাপুরকে হারিয়েছেন নিতু। দীর্ঘ বছরের সঙ্গী কে হারিয়ে অনেকটাই একা হয়ে পড়েছেন নিতু। কিন্তু সন্তানরা তাকে কখনোই নিরাশ করেননি। পুত্র রণবীরকে তিনি অত্যন্ত স্নেহ করেন। রণবীর মা বলতে অজ্ঞান। অনেকই রণবীরকে ‘মামাজ বয়’ বলে সম্বোধন করেন। মায়ের নিঃসঙ্গতা দেখে রণবীর চাইছেন নিতু আবার কাজে ফিরুক। বহু বছর তিনি সংসারের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন। তাই রনবীর চান ইন্ডাস্ট্রিতে তার কাম ব্যাক।
শোনা যাচ্ছে কেতান মেহতার ‘যুগ যুগ জিও’ ছবির হাত ধরে নি তো নাকি বলিউডে কামব্যাক করছেন। ছবিতে রয়েছেন বরুণ ধাওয়ান কিয়ারা আদ্ভানি অনিল কাপুরের মতন অভিনেতারাও। ছবিটি প্রযোজনা করছেন করণ জোহর, যশ জোহর ও অপূর্ব মেহেতা। নিতু নিজেই জানিয়েছেন সিনেমায় কামব্যাক অনেকটা রণবীরের কারণেই। মায়ের পাশে এভাবে সন্তানের থাকাটা খুবই মানসিক শক্তি যোগায় বলে নিতু মনে করে। নিতুর কাছে এটা যথেষ্ট আনন্দের এবং গর্বের।